করোনায় পোশাক কারখানায় ৫৫ শতাংশ কাজ কমে গেছে

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ , জুন ৪, ২০২০

চলতি মাসে পোশাক করখানাগুলোতে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি আরও জানান, এতে মালিকদের কিছুই করার নেই। কারণ প্রায় ৫৫ শতাংশ পোষাক কারখানায় কাজ কমে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ‘স্টেট অব দ্য আর্ট কোভিড-১৯ ল্যাব’ উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রুবানা হক বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বে ভোক্তাদের চাহিদা কমে যাচ্ছে। দেশের পোশাক কারখানার কাজও প্রায় ৫৫ শতাংশ কমেছে। এমন অবস্থায় জুন থেকেই শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের মালিকদের কিছুই করার নেই।’

শ্রমিক ছাঁটাই অনাকাঙ্খিত বাস্তবতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু করার কিছু নেই। কারণ, শতকরা ৫৫ শতাংশ ক্যাপাসিটিতে ফ্যাক্টরি চলছে। ছাঁটাই ছাড়া কোনও উপায় দেখছি না। তবে এ অবস্থা বদলেও যেতে পারে। তখন ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরাই কাজে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। জুলাইতে কী হবে বলা যাচ্ছে না। সেই সময় আমাদের আরও বড় ধাক্কা খেতে হবে। এটি অপ্রত্যাশিত কিছু নয়।’

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন (এমপি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী (এমপি), ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাডাস)-এর সভাপতি প্রফেসর ডাক্তার এ কে আজাদ খান।

রুবানা জানান, বিজিএমইএ’র অন্তর্ভুক্ত কারখানা ছিল ২ হাজার ২৭৪টি, এখন এক হাজার ৯২৬টি চলছে। তার মানে বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে। করোনার এই সময়ে প্রায় ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ শতাংশ ফেরত এসেছে। তবে যারা ফেরত এসেছেন তারা আবার বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছেন। আগামীতে বিশ্বে ভোক্তার চাহিদা ৬৫ শতাংশ কমে যাবে। তাই পোশাকের চাহিদা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা কম বলেও জানান তিনি

Loading