রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর গুলিতে স্থানীয় যুবক নিহত

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ৫, ২০২০

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জকির গ্রুপের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় যুবক আব্দুর শুক্কুর (৩২)। তিনি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড জাদিমুড়া শালবাগান এলাকার আবুল বসরের ছেলে। নিহত যুবক দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জাদিমুড়া শালবাগান নিজ বাড়ির পাশের হাঁটাচলার রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে আইনশৃংঙ্খলাবাহিনী টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া ও শালবাগান এলাকায় অভিযান জোরদার করেছে। র‌্যাব, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, নুর-উর-নবী, শালমান শাহসহ বেশ কজনকে আটক করেছে। উদ্ধার করেছে এলজি, ইয়াবা ও কিরিচ।

তবে এখনও অধরা রয়েছে আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম, খালেক ও জকির । এদের ধরতে র্যা ব ও এপিবি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
নিহত আব্দুর শুক্কুর বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দিয়ে আসছিলো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জকির। এর জের ধরে একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সরাসরি শুক্কুরকে গুলি করে হত্যা করে।

নিহতের বাবা আবুল বসর বলেন , ‘আমার ছেলে আব্দুর শুক্কুর সকাল বেলা ঘর হতে বের হয়। পার্শ্ববর্তী চাচার বাড়ির পাশ দিয়ে সে দোকানের দিকে যাওয়ার সময় আগে থেকে উৎ পেতে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা কয়েকদিক থেকে তাকে ঘেরাও করে। সামনাসামনি থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জকির ডাকাত সরাসরি তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ওরা পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা এ ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী। তবে কেউ ডাকাত গ্রুপের ভয়ে এগিয়ে আসেনি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একই এলাকায় বছর খানেক আগে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুককে হত্যা করে তারা। এবার বাংলাদেশি শুক্কুরকে হত্যা করলো প্রকাশ্যে দিবালোকে।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী সংস্থা আর্ম পুলিশ ব্যাটলিয়ন-১৬ ( কক্সবাজার) এর অধিনায়ক (এসপি) হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের কয়েক গজের মধ্যেই এপিবিএন ক্যাম্প রয়েছে। আর এখানে এ ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে।

Loading