একাত্তর থেকে পঁচাত্তর: মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা ঢাকা অফিস ঢাকা অফিস প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৫, ২০২০ গত ১৪ আগস্ট, শুক্রবার, বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ” এর উদ্যোগে “একাত্তর থেকে পঁচাত্তর: মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট অসিত সরকার সজল এবং কবি ও অনুবাদক আনিস মুহাম্মদ। গীতিকার সুজন হাজংয়ের সঞ্চালনায় উক্ত ভার্চুয়াল আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন এইটি তিনটি মূল্যবান গ্রন্থের জন্য বঙ্গবন্ধু একজন লেখক হিসেবে আমাদের কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের জন্য ওয়াশিংটনের নিউজ উইক মেগাজিন বঙ্গবন্ধুকে “দ্যা পয়েট অব পলিটিক্স” অর্থাৎ ‘রাজনীতির কবি’ আখ্যায়িত করেছেন। রাজনীতির বাইরে বঙ্গবন্ধুর লেখকসত্তার বিকাশ ঘটেছে। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। তাঁকে ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ এবং কর্মই তাঁকে মৃত্যুঞ্জয়ী করেছে। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড জিয়া এবং মোস্তাকের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা যদি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে শেখ ফজলুল হক মনির পরিবারকে কেন হত্যা করা হবে, সেরনিয়াবাদ পরিবারকে কেন হত্যা করা হবে, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে কেন হত্যা করা হবে ? যদি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে তাহলে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে কেন নির্যাতিত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল, শতশত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কেন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ? তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটি ছিল আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির ওপর আক্রমণ। অসীম কুমার উকিল বলেন, আজকে রাজনীতিতে দাঁড়িয়ে এই কথাটি বারবার মনে পড়ে যে পঁচাত্তর উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী একাত্তরের ঘাতকরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে। এদের হাত ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী পঁচাত্তরের ঘাতকরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে। তারাই মৌলবাদের অর্থনীতির শিকড় গেড়ে বসেছে বাংলাদেশে। যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা আজ পরাজিত। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, বিশ্বের ইতিহাসে অনিবার্য ব্যক্তিত্ব। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও পঁচাত্তরের প্রতিরোধযোদ্ধা অসিত সরকার সজল বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে আমি, মানু মুজুমদার (বর্তমান এমপি), বজলুর রহমান আমরা তিনজন মিলে খন্দকার মোস্তাককে হত্যার মিশন নিতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছিলাম। আমরা ফাঁসির আসামী হয়ে ১৪টি বছর জেল খেটেছি। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অমানবিক নির্যাতন এবং দুঃসহ যন্ত্রণা নিরবে সয়েছি। মঞ্চসারথি আতাউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী কয়েকবার বলেছেন সেদিন আপনারা কই ছিলেন? পঁচাত্তরে আমাদের বুদ্ধিজীবী, বিদ্যাজীবি, বিদ্বজন যারা বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করে নেঁচেছেন কই তারা তো কিছুই করলেন না। আমরা যদি কয়েক হাজার লোক ক্যান্টনমেন্টে দৌড় দিতাম তাহলে তো একটা ঘটনা হত। কি করে আমাদের আর্মির প্রধানের সামনে দিয়ে টঙ্ক মুভ করে এটাতো একটি বিস্ময়কর ঘটনা। তিনি বলেন, নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ আসে। বাঙালির অনেক গুণ আছে কিন্তু ভীরুতাও বাঙালির একটি দোষ। শেয়ার G$R নিউজের নিচে সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়: https://news71online.com/?p=12913&preview=truehttps://news71online.com/archives/12913