বিএনপি এখনও ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ , মার্চ ২৭, ২০২৪

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিএনপি ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ মার্চে জাতির পিতার ঘোষণায় দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশ পুর্নগঠনে আর্থ-সামাজিক সব পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। অথচ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল জিয়াচক্র।

সরকারপ্রধান বলেছেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব হয়েছে।

স্বাধীনতার প্রশ্নে এখনও বিএনপি ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি নেতারা বলেন ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করলো কে? বিজয় কে আনলো? মুজিবনগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেফতারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ তো এককদম এগোতে পারেনি। আমি বলি, এককদম এগোতে দেওয়া হয়নি- মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ বলছে- গণতন্ত্র নেই, দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল- মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়।

যে দল দেশ স্বাধীন করেছেন তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

Loading