আনোয়ারায় দায়ের কোপে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৮, ২০২২

ট্টগ্রামের আনোয়ারায় ধারালো অস্ত্রের কোপে সুনীল কান্তি নাথ (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রমোহন নাথের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।আটক ওই ব্যক্তি অসংলগ্ন আচরণ করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি কখনো নিজেকে সোহেল আবার কখনো সানাউল্লাহ পরিচয় দিচ্ছেন। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। নিহত সুনীল কান্তি নাথ বারশত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রমোহন নাথের ছেলে। নিহতের স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সুনীল তার বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে গাছের ডাল কাটছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে প্রতিবেশী দিনমজুর পরিমল নাথও কাজ করছিলেন। কিছুক্ষণ পর অপরিচিত এক যুবক এসে তাদের সঙ্গে কাজ করতে চান। ভাত ও ১০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে ওই যুবক কাজ করার জন্য রাজি হন।

ঘটনার পর আনোয়ারা সার্কেল হুমায়ুন কবির, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান, স্থানীয় চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।

পরিমল নাথ বলেন, ‘আমি ও সুনীল সকালে পুকুরপাড়ে গাছের ডালপালা কাটার কাজ শুরু করি। ওই সময় লোকটি এসে বলে, সেও কাজ করবে। কিছুক্ষণ কাজ করার পর ওই লোকের জন্য ভাত আনতে যাই। ওই সময়ই লোকটি তার হাতে থাকা দা দিয়ে সুনীলের ঘাড়ে কোপ দেয়।’

এদিকে সুনীলকে কোপানোর পর স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে ঘিরে ফেলেন। এ সময় তিনি স্থানীয় কয়েকজনকেও আঘাত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

নিহতের ভাগনী রিকু দেবী (২৮) জানান, আমার মামা একজন কেটে খাওয়া মানুষ। ঘরের উঠানে গাছ কাটছিলো, সেখানে দায়ের কোপ দেয় লোকটি। আমরা ঘটনা শুনার পরই মামার বাড়িতে ছুটে আসি।

বারশত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে কয়েক শ লোক সেখানে জড়ো হয়েছিল। তখন অপরিচিত ওই লোকের হামলায় তিনিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, স্থানীয়রা ওই যুবককে দুইদিন ধরে এলাকায় ঘুরতে দেখে। তবে সে কোথা থেকে এসেছে তা এখনও জানা যায়নি।

আনোয়ারা সার্কেল হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তি কিছুটা অসংলগ্ন আচরণ করছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

Loading