৪১৩ গ্রাম প্লাবিতকক্সবাজারে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি নিউজ ৭১ অনলাইন নিউজ ৭১ অনলাইন প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ , জুলাই ২৯, ২০২১ কক্সবাজারে ৪১৩ গ্রাম প্লাবিতটানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদীয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও নবগঠিত ঈদগাঁহ উপজেলার ৪১টি ইউনিয়নের ৪১৩টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লাখো মানুষ মানুষ চরম দুর্ভোগে আছেন।কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের ৪১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫৫ হাজার ১৫০ পরিবারের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি পড়েছে। জেলার ৭১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার মধ্যে ৪১ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা। প্লাবিত এসব এলাকায় ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, প্লাবিত এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনের আরও জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হবে।চকরিয়ার হারবাং রাখাইন পাড়ার বাসিন্দা মা নেন খিং রাখাইন বলেন, ঘরে ঘরে এখন পানি। চুলা জ্বালাতে পারছেন না কেউ।দুর্ভোগসীমা ছেড়ে গেছে।কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, এ জেলার দুই প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি প্রবাহ সাগরে জোয়ার চলাকালে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক জায়গায় বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। যে কারণে বাড়ি-ঘর বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে।এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, সাগরে নিম্নচাপের কারণে গেল কয়েকদিন ধরেই কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলে চলাচলরত নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থেকে মাছ শিকারের কথা বলা হচ্ছে। শেয়ার কক্সবাজারবিষয়: