এবার হজে যারা যেতে পারবেন

প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২৯, ২০২২

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার এবার বিদেশিদের হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরিস্থিতি ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’ না হওয়ায় এ বছর বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং স্বল্পতম সময়ের প্রস্তুতিতে হজ হতে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ১৯৫৭ সালের ১ জুলাইয়ের পরে যাদের জন্ম, তারাই কেবল বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন।

২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা ঠিক করেছিল সৌদি আরব। তখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২

বাংলাদেশ থেকে এ বছর হজে যেতে পারবেন মোট ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন। হজযাত্রী হিসেবে এবার কারা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাদের করণীয় সম্পর্কে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে।

>> ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিতরা এ বছর হজে যাবার সুযোগ পাবেন, তবে তাদের জন্ম হতে হবে ১ জুলাই ১৯৫৭ এবং এর পরে।

>> ২০২০ সালে নিবন্ধিত যাদের জন্ম তারিখ ১৯৫৭ সালের ৩০ জুনের আগে কিংবা ওই সময়ে নিবন্ধন সম্পন্নের পর যাদের মৃত্যু হয়েছে,তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ হজে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন। এক্ষেত্রে বদলি হজযাত্রীকে পাসপোর্টসহ অবিলম্বে (সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে) পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা বরাবর আবেদন করতে হবে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিজ হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

এবার হজের জন্য যেসব বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে :

* ২০২০ সালের নিবন্ধিত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ২০২২ সালে হজ প্যাকেজ ঘোষণার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে যে কোনো নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে প্যাকেজ স্থানান্তর সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য ২০২০ সালে পরিশোধিত প্যাকেজ মূল্য সমন্বয় করে ২০২২ সালের যে কোনো একটি প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ ভাউচারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা করতে হবে।

* প্যাকেজ স্থানান্তর বা নিবন্ধনের তিন দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে ঢাকায় হজ অফিসে জমা দিতে হবে।

* ২০২০ সালের নিবন্ধিত বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির প্যাকেজ (সরকারি ব্যবস্থাপনার সর্বনিম্ন প্যাকেজের নিম্নে নয়) অনুযায়ী অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে এজেন্সির সহায়তায় হজে গমনের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

* নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ২০২৩ সালে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে।

* হজের সময়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুসারে প্রতিটি স্থানে গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে।

* হজযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

* কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করে টিকা সনদের একাধিক কপি বা আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট কপি প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে হজযাত্রায় ব্যবহার করা যায়।

* নিবন্ধন ছাড়া কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে অথবা ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসে টিকা নেওয়ার তথ্য হালনাগাদ না হলে, এমন হজযাত্রীকে টিকা গ্রহণের তথ্য ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে অন্তর্ভুক্তিক্রমে টিকার সনদ গ্রহণ করতে হবে।

* হজে গমনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে।

* হজযাত্রীগণ নিয়মিত সেবন করেন, এমন কোনো ঔষধ সৌদি আরবে নেওয়ার প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের বা হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে নিতে হবে।ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ওষুধ লাগেজে নেওয়া যাবে না।

* হজযাত্রী, গাইড বা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি জর্দা, গুলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সঙ্গে নিতে পারবেন না।

* সৌদি সরকারের নিয়ম, সেখান থেকে দেশে ফেরার সময় ৬০ হাজার সৌদি রিয়ালের অধিক নগদ অর্থ বা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার বা মূল্যবান কোনো দ্রব্যাদি বহন করলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে সৌদি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে; মূল্যবান দ্রব্যাদি কেনার ইলেক্ট্রিক্যাল ভাউচার দেখাতে হবে।

হজের বিষয়ে কোনো তথ্যের জন্য হজ অফিস, ঢাকার কলসেন্টারে (০৯৬০২৬৬৬৭০৭) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া হজ অনুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট উপসচিব (হজ-১) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের (মোবাইল: ০১৭২০-২০৯৫৯৯, ই-মেইল: [email protected] ) যোগাযোগ করা যাবে।

Loading