শ্রম নীতি সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনসহ নানা চাহিদা থাকলেও শ্রম অধিকারের ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছে সরকার।

সোমবার সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে শ্রমসংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন।

শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের যে শর্ত ছিল তার অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে বলে জানান শ্রম সচিব।
বাংলাদেশের
তৈরী পোশাক খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শ্রম আইনের সংস্কার, শ্রমিকদের অধিকার সুরাক্ষাসহ নানা শর্তের বাস্তবায়ন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। এসব বিষয়ের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আলোচনায় বসেন পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অংশিদাররা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাণিজ্য সচিব। তিনি জানান, তৈরি পোশাক খাতে নতুন নূন্যতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তাই শ্রম নীতি নিয়ে নিষেধাজ্ঞার মতো কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

এক প্রশ্নের জাবাবে শ্রম সচিব জানান, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। সেসব শর্তের অনেকটাই পূরণ হয়েছে। বাকিগুলোও পূরণের কাজ চলছে।

এসব অগ্রগতির বিষয়ে শিগগির যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর কথাও জানান তিনি।