রামগড়ে দুর্গাপূজায় পূজামন্ডপ পরিদর্শনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

বাহার উদ্দিন বাহার উদ্দিন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ২১, ২০২৩

হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরববিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্হার মধ্যে দিয়ে জাঁকজমক ভাবে খাগড়াছড়ির রামগড়ে পালিত হচ্ছে। গতকাল ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শেষ হবে শুভ বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা  বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। এবার নেওয়া হয়েছে ছয় স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই পূজার উৎসবকে আনন্দময় ও নিরাপদ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রামগড় উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালীবাড়ীর দূর্গাপূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পূঁজার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে মন্দির পরিদর্শন করেন উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।এসময় তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী,জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন,রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন,জেলা পরিষদের সদস্য হিরনজয় ত্রিপুরা, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা প্রমূখ।অতিথিসহ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি কালী বাড়ি মন্দির গেইটে পৌছলে তাঁকে মন্দির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী এবং সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দাশ ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি (এমপি)পূঁজামন্ডপ ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি রামগড় উপজেলা সনাতন ছাত্র ও যুব পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মাতৃ সম্মেলন ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে রামগড় পৌরসভার মেয়র মোঃ রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ফারুক,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা হোসেনসহ  জনপ্রতিনিধি ,রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  এদিকে দূর্গা উৎসবকে নির্বিঘ্ন, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে শেষ করতে নানান স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন।পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দাশ জানান, সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তার জন্য পূঁজা এরিয়ায় ১০ টি সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। তার পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলা আনসার সদস্য এবং পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে বলেন্টিয়ার নিযুক্ত করা হয়েছে। রয়েছে বিজিবি টহল দলও।পূঁজা উপলক্ষ্যে মন্দির প্রাঙ্গণে হরেক রকম পন্যের শতাধিক অস্থায়ী দোকান সাজিয়েছে দোকানিরা। ভিতরে বাহিরে লাগলো হয়েছে দৃষ্টি নন্দিত আলোকসজ্জা। পূঁজা উৎসব হয়ে ওঠে এ অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম,হিন্দু,  ত্রিপুরা,মারমাসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির মিলন মেলায়।

Loading