টোকেন না থাকায় পুনরায় দুজনকে অপহরন

বাহার উদ্দিন বাহার উদ্দিন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩

চাঁদার টোকেন না থাকায় রোববার রাতে রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের দাঁতারামপাড়া নামক স্থান হতে মুরগীর বাচ্চাবাহী কাভার্ড ভ্যান চালক ও হেলপারকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের (প্রসীত গ্রুপ) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। গত ( ১০ সেপ্টেম্বর) একই সড়কের যৌথ খামার হতে কাভার্ড ভ্যান ও মিনি ট্রাকের ২ চালক ও ২ হেলপারকে অপহরণ করে তারা। পরে মুক্তিপণ আদায় করে ৮ ঘন্টা পর অপহৃতদের ছেড়ে দেয় ওই সন্ত্রাসীরা।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে দাঁতারামপাড়ায় অপহৃতদের মধ্যে কাভার্ডভ্যান চালকের নাম মো: মিন্টু।তার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড। অপহৃত অপরজন ঐ কাভার্ড ভ্যানের হেলপার। তবে তার নাম, ঠিকানা জানা যায়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িগামী সিপি ফিড মিল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীর বাচ্চাবাহী কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ন-১৮-২৬৪১) এবং একটি কলাবাহী মিনি ট্রাক (চট্টমেট্রো ন-১১- ৭৬৯৯) রামগড়ের দাঁতারামপাড়া এলাকায় পৌঁছলে ইউপিডিএফের ৭-৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গাড়ির গতিরোধ করে।গাড়ি থেকে চালক ও হেলপারদের নামিয়ে চাঁদার টোকেন দেখতে চায়। কিন্তু তারা এ টোকেন দেখাতে ব্যর্থ হলে চালক ও হেলপারকে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেরমুখে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়।এদিকে, চালক ও হেলপারকে অপহরণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি ও পুলিশ অভিযান শুরু করে। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে রাত ব্যাপী অভিযান চালায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারিবাহিনী। অভিযানকালে রামগড়ের বনবীথি এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত নম্বরবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা গেলেও অপহৃতদের উদ্ধার করা যায়নি।
সূত্র জানায়, অপহরণকারীরা অপহৃত ২ জনের মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। সূত্র জানায়, সিপি ফিড মিল লিমিটেড নামে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে অপহরণকারিদের সাথে যোগাযোগ করছে।রামগড় থানার ওসি(তদন্ত) মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, রোববার সারারাত বিজিবি ও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালায়।কিন্তু তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, রাতে অভিযানকালে পুলিশ রোববার রাতেই অপহৃত চালকের কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়।

Loading