৯ লাখ পিস ইয়াবাসহ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ , মে ৩০, ২০২৩

কক্সবাজারস্থ র‌্যাব ১৫ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ ইয়াবাসহ ৫ মাদক কারবারি এবং মাদক মামলায় ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ লাখ ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীসহ ৫ জনকে।

সোমবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ছড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাদক মামলায় ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে র‍্যাব ১৫ কক্সবাজারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

টেকনাফ থেকে ৯ লাখ ইয়াবা সহ গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার আবদুল শুক্কুরের ছেলে আলমগীর হোসেন (১৯), আবদুল শুক্কুরের স্ত্রী এবং আলমগীরের মা সোনা মেহের (৫৫), একই এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে আবুল বশর (২২), টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল (৩১), হ্নীলার জাদিরপাড়া এলাকার শামশুল আলমের ছেলে এমরান প্রকাশ লাদেন (২৮)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব অধিনায়ক জানান, আটক এই ৫ জন সংঘবদ্ধ একটি মাদক চোরাচালন চক্রের সদস্য। তাদের প্রধান আবুল বশর গ্রেপ্তার নারী সোনা মেহের, মো. ফয়সাল ও এমরান প্রকাশ লাদেনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়া থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামী ওই এলাকার হাজি আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রশিদ আহমদ। একটি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রশিদ গত ২২ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. সাইফুল ইসলাম আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা চালান আসার খবরে র‍্যাবের একটি টিম টেকনাফের জালিয়াপাড়া এলাকা অভিযান চালায়। অভিযানে ২ লাখ ইয়াবাসহ আলমগীর, সোনা মেহের ও আবুল বশরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকা থেকে ৭ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় অপর ২ জনকে।

তিনি জানান, অপর এক অভিযানে কক্সবাজার শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২২ বছর যাবত আত্মগোপনে থাকা মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রশিদ আহমদকে। এ ব্যাপারে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করে টেকনাফ থানায় ৫ জনকে সোপর্দ করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Loading