নেত্রকোণায় মামলার বাদীকে মেরে ফেলার হুমকি, সংবাদ সম্মেলন

সুস্থির সরকার সুস্থির সরকার

বিভাগীয় প্রধান ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৯, ২০২৩

নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের কান্দি গ্রামে নাজমুল করিম নাঈমের পুকুরের মাছ নিধনের মামলা করায় বাদী ও পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করছে আসামি পক্ষ। জেলা শহরের নাগড়া এলাকায় শনিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে জানান,বাদী শাহনাজ বেগম ও ফিসারীর মালিক নাজমুল করিম নাঈম।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল করিম নাঈম লিখিত ব্যক্তব্যে জানান, তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে লেখাপাড়া শেষ করে চাকরী না করে উদ্যোক্তা হবার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২০১৫ সালে ড্রিম এগ্রো নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেন। ব্যবসা শুরুর পর থেকে তার ফিসারীতে মাছ চুরি হতে থাকে।
স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী মহল তাকে ও তার পরিবারকে নানা ভাবে বেøকমেইল করে যাচ্ছিল। কয়েক বছরে সন্ত্রাসীরা তার পুকুর থেকে কয়েক কোটি টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চুরি নয়,প্রকাশ্যে মাছ ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এই চুরির সাথে আশপাশের পুকুর মালিকরা জড়িত। এক পর্যায়ে পুলিশ স্থানীয় জেলে এবং পুকুর মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চোরের উপদ্রব কিছুটা কমে।
ফের গত বছরের ২১ জুলাই ভোরে পুকুরে জাল দিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। আবার গত ১ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে সকল মাছ মেরে ফেলে। চোরের ভয়ে নাজমুল ভীত হয়ে কোন ধরণের আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরামর্শে তারই বোন শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে কান্দি গ্রামের মো. সাদেকুর রহমান,ফচিকা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯জনের নাম উল্খে ও অজ্ঞাত ৫- ৭জনের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামি ও তাদের লোকজন নানা ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করছে। এ বিষয়ে নতুন করে একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানান শাহনাজ বেগম।

এ বিষয়ে,কাইলাটী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন,ওদের পুকুরে মাছ মারা গেছে বিষয়টি দেখেছি। তবে কিভাবে মারা গেছে তা জানতে বা বুঝতে পারিনি। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এর মধ্যে তাদের জামিনও হয়ে গেছে শুনেছি।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার সাকের আহমেদ মামলা দায়েরের বিষয়টি জানান, এরই মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Loading