শরণার্থীদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ , মার্চ ৩১, ২০২৩

বৃহস্পতিবার ‘যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী অভিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকৃত চিত্র’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে ইতিহাস ও বাস্তবতা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, শরণার্থী অভিবাসী ইস্যুতে মার্কিন অপকর্মগুলো বিশ্বস্ততার সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে বলা হয়, শরণার্থী অভিবাসীদের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র স্বঘোষিত ‘গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা’ নয়, বরং মিথ্যা ও দ্বৈত মানদণ্ডের ধারক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অভিবাসী আটকব্যবস্থা স্থাপন করেছে। খরচ বাঁচাতে মার্কিন সরকার প্রায়শই অভিবাসী আটক শিবির নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি কোম্পানিগুলোর হাতে তুলে দিচ্ছে। এগুলো ব্যক্তিগত কারাগারে পরিণত হয়েছে। মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কর্তৃক অভিবাসী শিশুদের হয়রানিও বন্ধ হয়নি। ২০১৯ সালে হাজার হাজার শিশু তাদের পিতামাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ শিশু ৫ বছরের কম বয়সী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান জাতিগত বৈষম্য অভিবাসন সমস্যার একটি বড় কারণ। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে, অভিবাসন সমস্যা আরও খারাপ হয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সংকটের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০২ সাল থেকে, মার্কিন আগ্রাসনের ফলে বিশ্বব্যাপী ৮ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। শুধুমাত্র আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন আগ্রাসনের কারণে ২০ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গোটা বিশ্ব থেকে আসা অভিবাসীদের সাথে নির্মম আচরণ করেছে। মার্কিন সরকার অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও হস্তক্ষেপ করছে, যুদ্ধ সৃষ্টি করছে, এবং বিশ্বজুড়ে বড় আকারের মানবিক বিপর্যয় ও শরণার্থী অভিবাসন সংকট তৈরি করছে। দেশটির উচিত শরণার্থী অভিবাসীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা এবং আধিপত্যবাদী আচরণ থেকে বিরত থাকা। সূত্র: সিআরআই।

Loading