চট্টগ্রাম বন্দরে কোয়ারেন্টিন ছাড়াই ভিড়বে চীনা জাহাজ

প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ , জুলাই ১৫, ২০২০

কোয়ারেন্টিন বা সংগনিরোধ ছাড়াই চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারবে চীন থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজ। এত দিন চীনের যেকোনো বন্দর থেকে আসা জাহাজকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পূর্ণ করে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়তে হতো। সাড়ে পাঁচ মাস পর গত ১২ জুলাই থেকে সেই আদেশ বাতিল করল সরকারের নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর। এর ফলে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ও তানজুম পেলিপাস এবং ভারতের সমুদ্রবন্দর থেকে আসা জাহাজের মতোই সরাসরি জেটিতে ভিড়তে পারবে চীন থেকে আসা জাহাজ।

নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আমরা ফেব্রুয়ারিতে এই সতর্কতা দিয়েছিলাম। এখন চীনে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশের নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা এবং পরিবহন খরচ কমিয়ে আনার স্বার্থে আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরে ও বহির্নোঙরে পৌঁছা দেশি-বিদেশি জাহাজের নাবিকদের করোনা পরীক্ষার কাজ করে পোর্ট হেলথ বিভাগ; যেটি নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের চিঠি আমরা পেয়েছি। কিন্তু জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ অব্যাহত রাখব কি না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনো কিছু বলেনি। তাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ অব্যাহত রেখেছি।’

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চীনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আশা করছি এখন থেকে চীনের জাহাজও স্বাভাবিকভাবেই বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারবে। আর কোয়ারেন্টিন প্রত্যাহার হলেও জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি আগের মতোই চলবে।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর জাহাজ আসে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়াতে শুধু চীনের বন্দর থেকে আসা জাহাজকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করা হতো। অন্য কোনো দেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসা জাহাজকে কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছিল না। এর ফলে চীনের বন্দর থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজ ১১ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছলেও কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করে বন্দর জেটিতে ভেড়ার জন্য আরো তিন দিন বাড়তি বসে থাকতে হতো।

অথচ অন্য দেশের বন্দর থেকে আসা জাহাজ সরাসরিই জেটিতে ভিড়তে পারছিল। বাড়তি সময় বসে থাকার কারণে চীনা পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে গিয়েছিল।

কন্টিনেন্টাল গ্রুপের এমডি আহসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘শুধু চীনা জাহাজের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করার কারণে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছিলাম।’

Loading