হুইপের ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের ৫ লাখ টাকা জরিমানা

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ , মার্চ ২৮, ২০২৩

জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ
সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে  ১৮ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সােমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘােষণা করেন। রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদন্ড দেন আদালত। এ ছাড়া একই আইনের ২৯ (২) ধারায় অভিযােগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মােহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান বলেন, বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন ফেসবুকে এমন মিথ্যা পােস্ট দেন, যা আদালতে আমরা আটজন সাক্ষী ও যুক্তি উপস্থাপন করে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টম্বর ফেসবুকে জাতীয় সংসদের হইপ সামশুল হক চৌধুরী জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন-এমন পােস্ট দেন মাহমুদ সাইফুল আমিন।এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল-শামস জগলুল হােসেনের আদালতে মামলা করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী । আদালতে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। একই বছরের
১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলায় বাদী সামশুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয় আদালতে। দুই ধারার সাজা পৃথকভাবে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, আসামি
যদি জরিমানার টাকা না দেন তা হলে একটি সাজার পর অন্য সাজাটি কার্যকর হবে।

Loading