ফুলের বাজারে বসন্ত-ভালবাসার হাওয়া

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

বসন্ত ও ভালবাসা দিবস। দিনটিকে সামনে রেখে খুলনার ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ তরুণীসহ উঠতি বয়সীদের বেজায় ভিড়। বসন্ত এবং ভালবাসা দিবসের প্রধান উপহার ফুল। আর সে ফুলের মধ্যে সবার পছন্দ গোলাপ। তাও আবার লাল রঙের।

চাহিদা মেটাতে খুলনার ফারাজীপাড়া ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা যশোরের গদখালী এবং স্থানীয় নার্সারীগুলো থেকে মজুদ করেছেন প্রায় ২০ হাজার পিস লাল গোলাপ। প্রতি পিসের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এটিই খুলনার প্রধান ফুলের বাজার।

দাম বেশি, কিন্তু ক্রেতার অভাব নেই। হাসিমুখে অনেকটাই যেন কাড়াকাড়ি চলছে ফুল নিয়ে। বিক্রেতারা জানালেন, ২০২১ সালে চাহিদা ছিল হলুদ রঙের গোলাপ। পরের বছর চাহিদা ছিল সাদা রঙের। এবারের চাহিদা লাল রঙের গোলাপ। ফুলের পাশাপাশি খুব বিক্রি হচ্ছে ক্রাউন। হরেক রকমের ফুল দিয়ে তৈরি ক্রাউন ছাড়া যেন তরুণীদের কোনো উৎসব উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। গোলাপের পাশপাশি বরাবরের মত রজনীগন্ধা, বেলীসহ অন্যান্য ফুলেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।

সোমবার বিকালে দেখা গেছে, ফারাজীপাড়া ফুল মার্কেটের ফুলেরশ্বরী, নাইট, বিয়ের ফুল, বিস্মিল্লাহ ফুল ঘর বেলী গার্ডেন, পুরবী পুষ্পালয়, ফুলের মেলা, পুষ্পমালা, গোলাপ কানন, স্বপ্নের ঠিকানা, রজনীগন্ধা, ভ্যালেনটাইন ফ্লাওয়ার, নিউ রোজ গার্ডেন ও দোলনচাপা নামক দোকান সেজেছে বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে। দৌলতপুর, খালিশপুর, বয়রা ও নিউ মার্কেটের ফুলের দোকানেও একই রকমের আয়োজন।

ফারাজীপাড়ার বিয়ের ফুল’ নামক দোকানের মালিক শেখ মোঃ নাসিম কচি জানান, গোলাপ প্রতি পিস ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা এবং ক্রাউন ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। দাম বেশি কেনো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন যশোরের গদখালী থেকে একশ পিস গোলাপ আনলে পথে অর্ধেক নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণেই দাম বাড়াতে হয়। গদখালীর সিন্ডিকেট বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ফুলের দাম বাড়িয়ে দেয়।

তিনি জানান, মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন বেচাকেনায় মন্দা গেছে। ব্যবসায়ীদের বড় অংকের লোকসান গুনতে হয়েছে। সে ধকল কাটিয়ে ওঠা এখনো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের আমদানীর জন্য ফুল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসকল নানা কারণে ফুলের দাম বাড়তি।

ফুল কিনতে আসা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম ফারহানা ও জয়া দাস জানান, ফুল ছাড়া বিশেষ দিবসগুলো উদযাপনের কথা ভাবাই যায় না। এবারও তারা বসন্ত বরণ ও ভালবাসা দিবসের জন্য ফুল কিনতে এসেছেন। বাড়তি ভিড়ের আশঙ্কায় একদিন আগে তারা এখানে এসেছেন। ফুলের দাম এবার বেশি বলে তারা মনে করছেন। তারপরও প্রিয়জনের জন্য তারা ফুল কিনছেন।

Loading