শেখ হাসিনার সরকারের ১৪ বছরে পটিয়ায় ৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ৩, ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আগমনে পটিয়াবাসী আনন্দে উৎপলিত, পটিয়াবাসী কৃতজ্ঞ।
শেখ হাসিনা সরকারের ১৪ বছরে পটিয়ায় বিশাল কর্মযজ্ঞ। সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রীর সহযাোগিতায় পটিয়ায় ৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে । ২ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান পর্যায়ে রয়েছে। হুইপ জানান, স্বাধীনতার পরে পটিয়ায় উন্নয়ন বলতে কিছু ছিল না।
যে জনপ্রতিনিধি যে এলাকায় বেশী ভােট পেতেন সেই এলাকায় উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিতেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নে ভােটের দৃষ্টিকোণ না দেখে জন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিবেচনায় রেখে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও ঐকান্তিক সহযাগিতায় সব এলাকায় সমান গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিত করেছি। যে কারনে পটিয়া এখন সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের রোল মড়েল ।
সম্প্রতি পটিয়ায় ১০০০ আসন বিশিষ্ট শেখ কামাল মাল্টি -পারপাস কমিউনিটি হল উদ্বোধন।
২০০৯ সাল থেকে উন্নয়নের এই কর্মযজ্ঞ।
পটিয়ায় পৌরসভার নিজস্ব ভবন পৌর সদরের লাইটিং ও ডেনেজ সিস্টেম আধুনিকায়ন, স্বাতন্ত্রিক বাস
টার্মিনাল নির্মাণ, বাইপাস সড়ক নির্মাণ, শিকলবাহার খালের ভাঙ্গন রােধ ও কাশিয়াইশে বৃহত্তর এলাকায় বেড়িরবাঁধ নির্মাণ, প্রীতিলতা কমপ্লেক্স নির্মাণ, আধুনিক ভূমি অফিস নির্মাণ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ উন্নয়ন, পটিয়া বাইপাস সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, কালারপাল সেতু, কৈয়গ্রাম সেতু সহ অসংখ্য ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, দেড়, শ, র উপরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, হাই স্কুল মাদরাসা ও কলেজ ভবন এবং রাস্তা ঘাট এবং ব্রিজ কালভার্টের নির্মাণ কাজ সম্পন করেছি।
তারমধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে রয়েছে। আশা করি কাজ সমাপ্ত হলে পটিয়া হবে একটি আধুনিক তিলোত্তমা নগরী। যার ধারাবাহিকতা সুফল পেতে হলে আবারাে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও পটিয়াবাসীর প্রাণের দাবি বঙ্গবন্ধু ঘােষিত জেলার কার্যক্রম নানা কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে।
যা পুনর্বহাল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার পাশপাশি ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করে চলেছি। এখন আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় এখন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পটিয়া আদালতের আধুনিক ভবন নির্মাণ, পটিয়া হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ।
তিনি আরো বলেন দেশে এমন অনেক জেলা আছে কোন শিল্প কারখানা ও উৎপাদনমুখি কর্মযজ্ঞ নেই। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম পটিয়া। এখানে শিল্প, কৃষি,
মৎস্য সহ বিভিন্ন আয় বর্ধক প্রকল্পের অবারিত সম্ভাবনা রয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ পটিয়াকে একটি অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড় তােলা সহজ হবে।
এছাড়াও বর্তমানে সরকার কর্ণফুলীতে টানেলের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে যােগাযােগের ক্ষেত্রে নব দিগন্ত সৃচিত করেছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের
গুরুত্ব দিন দিন অনেকাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এটি একটি গ্রোথ সেন্টার হিসেবে গড়ে
উঠবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পটিয়ার আমজুর হাট হয়ে যে বঙ্গবন্ধু সড়ক কৈয়গ্রাম ব্রিজের সাথে সংযুক্ত হয়েছে এটি ফকিরনির হাটের ব্রিজ ঘাট হয়ে টানেলের মাধ্যমে বিমান বন্দরের সাথে যুক্ত হবে। এতে মায়ানমার, কক্সবাজার এবং বান্দরবান সহ পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে যাওয়া
আসা সহজ থেকে সহজতর হবে।
এছাড়াও অনেক গনমুখি প্রকল্প মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে পটিয়ায় বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা গেলে আগামীতে পটিয়া একটি মডেল শহরে রুপ নেবে। তিনি আরো বলেন আমার মেয়াদকালে পটিয়ায় স্বাধীনতা বিরােধীদের ঘৃণা জানাতে দেশের প্রথম ঘৃণাস্তভ নির্মিত হয়। যা সারা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলাকালা সময়ে এটি একটি ইতিহাসের মাইল ফলক। এটি উদ্বোধনকে ঘিরে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া সহ সারা দেশে আলােড়ন সষ্টি করে এ ঘৃণাস্তম্ভ । শুধু তাই নয়, তার এ সময়ে পটিয়ায় নির্মিত হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসোেধের আদলে স্মতিসৌধ। তবে পটিয়ায় সবচেয়ে বেশি সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে কর্ণফুলী ৩য় সেতু থেকে পটিয়া পর্যন্ত বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু।
স্বাধীনতার বিগত ৪১ বছরে পটিয়ার মানুষ যাতায়াত ক্ষেএে যে হয়রানির শিকার হয়েছিল, তার বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌশলী সিদ্ধান্ত বিশেষ করে বিআরটিসি বাস চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা দূরীভূত হয়েছে। এছাড়াও পটিয়ায় ১৬৫টি র মত প্রাইমারী স্কুল ভবন, ২৯টি হাইস্কুল ও মাদ্রাসা ভবন, সব কলেজে একাডেমিক ভবন নির্মান, সব জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক, কালারপােল সেতু নির্মাণ, উজিরপুর বঙ্গবন্ধু সড়ক নির্মাণ, পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ, পটিয়ার শিকলবাহা খালে বেড়িবাধ নির্মাণ, পৌর ভবন নির্মাণ, পটিয়া জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ভবন, সড়ক ভবন, বন বিভাগ ভবন এবং কয়েকশ কিলোমিটারের সড়ক উন্নয়ন ও ব্রীজ-কালভাট নির্মাণ এবং আশ্রয়ন প্রকল্পসহ অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
এছাড়াও পটিয়া স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে পটিয়া হাইদগাঁওয়ে জায়গা
নির্বাচন করা হয়েছে বর্তমানে তিনি পটিয়ায় আধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজে হাত দিয়েছেন।
পটিয়ার গনমানুষের নেতা হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী বিগত জোট সরকারের প্রারম্ভিক ফালে পটিয়াবাসীর উদ্দেশ্য বলেন, “আমি পটিয়ার”
পটিয়া আমার ” এই স্লোগান ও ছবি সম্বলিত একটি পােষ্টার ছাপিয়ে জনগণের সেবায় আত্বপ্রকাশ করেছিলেন। সেই থেকে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন অবধি তিনি পটিয়াবাসীর সুখ দুঃখের সাথী হয়েই কাজ করে গেছেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও তিনি তাঁর সেই প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছেন। সরকারের ৩য় মেয়াদে তিনি মহান জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী সম মর্যাদায় হুইপ নিযুক্ত হয়ে পটিয়াবাসীকে গৌরবের আসনে অভিষিক্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে থেকে তার নির্বাচনী এলাকা পটিয়া ছাড়া ও দেশ ও জাতির কল্যানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Loading