চাষ না করলে জমি খাস

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ , নভেম্বর ২৩, ২০২২

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ছয়শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয় না। দীর্ঘদিন ধরে জমিগুলো আবাদহীন অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস ও চাটাই বন সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার আশিয়া, শোভনদন্ডী, , কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, ছনহরা ও পটিয়া পৌর সদরের ইন্দ্রপোল বাকখালী এলাকায় চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পতিত রয়েছে এসব জমি। গত ১০/১৫ বছর পূর্বেও এসব পতিত জমিগুলোতে চাষাবাদ হয়েছে এবং কয়েক লাখ মন ধান পাওয়া গেছে। দৈনন্দিন কৃষকদের উদাসীনতা ও কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে চাষাবাদযোগ্য জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জমির পাশে খাল ভরাট ও ড্রেন ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৭২ হেক্টর। এরমধ্যে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে আউশ, ১০ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে আমন ও ১৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এসব জমির মধ্যে পতিত জমির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২ হেক্টর।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিগত ৩ বছরে পতিত ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এতে আরো ৬০২ হেক্টর জমি অনাবাদী রয়েছে।

জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি পতিত জমির তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে জমিগুলো মালিক পক্ষ চাষাবাদযোগ্য না করলে খাস খতিয়ানে রূপান্তর করা হবে। তিনি আরো বলেন, যারা অনাবাদি জমি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চাষাবাদ যোগ্য না করবে সে জমিগুলো খাস খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।

Loading