উপকূল থেকে ২ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে

প্রকাশিত: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ , অক্টোবর ২৫, ২০২২

দেশের ১৫টি উপকুলীয় জেলা থেকে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তরা বলেছেন, আজ মধ্যরাত অথবা আগামীকাল ভোরে বাংলাদেশের উপকুলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,‘আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত উকূপলীয় ১৫ জেলার প্রায় ২লাখ ১৯ হাজার ৯শ’ ৯০ জনকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।’

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম. মনিরুজ্জামান আরো জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৬ হাজার ৯শ’ ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি।’

উপকূলীয় পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এছাড়া, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে যথাক্রমে ২৭৫ কিলোমিটার ও ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেছেন,আবহাওয়া অফিস আজ সন্ধ্যায় সর্বশেষ নির্দেশনায় পায়রা, মোংলা ও চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নং বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঘূণিঝড়টি উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এবং এ সময় বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। ঘূণিঝড় সিত্রাং আজ মধ্যরাতে বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

Loading