রামগড়ে সম্প্রীতি সমাবেশে ‘সম্প্রীতির ঐতিহ্য’ অটুট রাখার প্রত্যয় ঘোষনা

বাহার উদ্দিন বাহার উদ্দিন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২

ঐতিহ্যবাহী সাবেক প্রাচীন মহকুমা রামগড়ের সুদীর্ঘকালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অটুট রাখতে প্রতিজ্ঞা করেছেন বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা ও বাসিন্দারা । মঙ্গলবার(২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে এ প্রতিজ্ঞা পুন:ব্যক্ত করা হয়।
উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্প্রীতি সমাবেশে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, বৌদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত,সনাতনী মঠ, মন্দিরের পুরোহিত, চার্চের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খোন্দকার মোঃ ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি।
বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেক ধর্মে সম্প্রীতির কথা উল্লেখ আছে। আমরা যদি যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি, তাহলে আমাদের মধ্যে আর কোন হিংসা হানাহানি থাকতে পারে না। বক্তারা রামগড়ে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, যে কোন মূল্যে দীর্ঘকালের এ ঐতিহ্য অটুট রাখা হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে রামগড় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সম্প্রীতি উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে ইউনিয়ন পর্যায়েও এ ধরণের সম্প্রীতি সমাবেশ হবে।
সভায় ধর্মীয় গুরুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রামগড় বায়তুল আমান কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো: আব্দুল হক, কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ আক্তার হোসাইন জিহাদী, রামগড় রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি শিক্ষাবিদ রামেশ্বর শীল, মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি যদ্রাই মারমা, রামগড় ব্যাপ্টিস্ট চার্চেরর পালক ফিলিপ হালদার। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় মারমা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মং প্রু চৌধুরী , উপজেলা আওয়ামীগ সভাপতি মোস্তফা হোসেন , থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মিজানুর রহমান।
সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক , সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।

Loading