বিশ্বজুড়ে আরও মাঙ্কিপক্স শনাক্তের আশঙ্কা!

প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ , মে ২২, ২০২২
The palms of a monkeypox case patient from Lodja, a city located within the Katako-Kombe Health Zone, are seen during a health investigation in the Democratic Republic of Congo in 1997. Picture taken in 1997. Brian W.J. Mahy/CDC/Handout via REUTERS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS

মহামারি কোভিড সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসতেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স! যা ক্রমান্বয়ে আরও শনাক্তের আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরই মধ্যে দেশে দেশে নজরদারি বাড়িয়েছে সংস্থাটি। বিশেষ করে যেখানে এখনও এ রোগটি পাওয়া যায়নি।

রোববার (২২ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১২টি দেশে ৯২ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া সন্দেহের পর্যায়ে রয়েছেন আরও ২৮ জন।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি এ বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা ও সুপারিশ জানাবে, কীভাবে রোগটির ছড়িয়ে পড়া কমানো যায় সে ব্যাপারে।

ডব্লিউএইচও জানায়, সংক্রামক রোগটি মূলত মানুষ থেকে মানুষের দেহে ছড়াতে পারে। যাদের দেহে রোগটি আছে, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশলেই এটি ছড়ায়।

‘আক্রান্তরা সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে রোগমুক্ত হন। তবে রোগটি মাঝে মাঝে মারাত্মক হয়ে ওঠে, যাতে মৃত্যুও হয়ে থাকে।’

এদিকে, সম্প্রতি আফ্রিকার পর ইউরোপ ও আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়ছে বিরল রোগ মাঙ্কিপক্স। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যে।

বিরল এ রোগে সর্বশেষ রোগী শনাক্ত হয়েছে ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়ায়ও।

এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার বলেন, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে চিহ্নিত মাঙ্কিপক্সের সাম্প্রতিক ঘটনা “চিন্তার বিষয়” হয়ে উঠেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড হেইম্যান বলেন, এটি “জৈবিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য” যে ভাইরাসটি অনেকগুলো দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোভিড-১৯ এর মতো লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে এটা বড় প্রাদুর্ভাবের দিকে ধাবিত হয়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব কোভিড-১৯ মহামারীর প্রথম দিনগুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। কারণ এটা এত সহজে সংক্রমিত হয় না। যারা সন্দেহ করেন যে, তারা কোনো আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন বা যাদের দেহে ফুসকুড়ি এবং জ্বরসহ এর অন্যান্য উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে, তাদের উচিত অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো।

হেইম্যানের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, “এই রোগ নিয়ে আসলে ভয়ের কিছুই নেই, কারণ এর ভ্যাকসিন কার্যকর। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো- আপনি ইচ্ছা করলেই নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।” সূত্র- আল জাজিরা।

এনএস//

Loading