রামগড়ের পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমনপিপাসুদের ভীড়

বাহার উদ্দিন বাহার উদ্দিন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ , মে ৪, ২০২২

ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে খাগড়াছড়ির রামগড়ের দর্শনীয় স্থান গুলোতে ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় জমাচ্ছে। টানা দুই বছর করোনার ধকল ছাড়িয়ে এবার ঈদ আনন্দ পালন করতে বিভিন্ন স্থান হতে আগত বিভিন্ন শ্রেনীপেশার সকল বয়সের পর্যটকরা রামগড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর স্থানগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।
বুধবার(৪ মে)ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেলে দেখা যায়,রামগড় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন লেক পাড়,বিজয় ভাস্কর্য,পার্কের ঝুলন্ত ব্রীজ, বিজিবির স্মৃতি স্তম্ভ, বাংলাদেশ -ভারত মৈত্রী সেতুতে রঙ বেরঙের পোশাক আর বাহারী সাজসজ্জায় শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের স্রোত। সেল্ফি তুলা, দৌড়াদৌড়ি, আড্ডা,গানবাজনা, হৈ-হুল্লোড়ের দৃশ্য মাতিয়ে তুলছে স্থানগুলোকে।
লেকপার্কে অবিস্থত লেকভিউ ও গোধূলি রেস্তোরাঁর রুচিসম্মত বিভিন্ন সুস্বাদু মুখরোচক খাবারও পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে।
কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয়দের পাশাপাশি মাটি রাঙ্গা,গুইমারা, চট্রগ্রাম,ফটিকছড়ি,ফেনী, বারৈয়ার হাট থেকে অনেকেই এসেছেন বেড়াতে।দলবেধে বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে এসেছে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে। ফেনী থেকে আসা দর্শনার্থী শামীম জানান, দুটি বছর কোথাও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে পারিনি।এবছর করোনার শীতলতা ও দীর্ঘ দিন সরকারি ছুটি পাওয়ায় চলে আসলাম স্ব পরিবারে বেড়াতে।
মিতু নামে এক নারী পর্যটক জানান, প্রকৃতি এতো সুন্দর এখানে না আসলে হয়তো জানতে পারতামনা,সত্যি মনোমুগ্ধকর অসাধারন দৃশ্য, তবে এখানে থাকা ও খাবার পর্যাপ্ত পরিবেশ না থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নারীদের।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন,প্রাচীন মহকুমা শহর রামগড়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে লেকপার্কের সৌন্দর্য বর্ধনএবং পর্যটকদের সুবিধাসমুহ বিবেচনায় রেখে শিশুদের রাইডস,পাবলিক রেস্টুরেন্টে, ওয়ার্ক ওয়েসহ অনন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে।

Loading