বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১৬, ২০২২

‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুনিশ্চিত চিকিৎসা’ স্লোগানকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব ফিমোফিলিয়া দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে দিবসটি উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব হিমোফিলিয়া ফেডারেশনের বার্ষিক সার্ভে ২০২০ এর মতে বিশ্বে প্রতি লক্ষ নবজাতক পুরুষ শিশুদের মধ্যে ২৪.৬ জন হিমোফিলিয়া এ এবং ৫ জন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ৯.৫ জন হিমোফিলিয়া এ এবং ১.৫ জন হিমোফিলিয়া বি তে আক্রান্ত শিশুরা তীব্র মাত্রার রোগে আক্রান্ত।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২২০০ এর ও বেশি হিমোফিলিয়া রোগী রেজিস্টার্ড হয়েছেন। বাকী আরো ১৪ হাজারের মত রোগী রেজিস্ট্রার্ডের বাইরে রয়েছে। রেজিস্টার্ডের বাইরের রোগীদের আগামী এক বছরের মধ্যে রেজিস্ট্রার্ড করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলোজি বিভাগকে নির্দেশনা দেন উপাচার্য।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হিমোফিলিয়া রোগীর চিকিৎসায় ‘হিমোফিলিয়া কম্প্রিহেনসিভ কেয়ার সেন্টার’ নির্মাণ করা হবে। এখানে অর্থপেডিক্স সার্জন থাকবে, ইএনটি সার্জন থাকবে, জেনারেল সার্জন থাকবে নিউরোলজিস্ট থাকবে। এ চিকিৎসায় সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, হিমোফিলিয়া প্রধানত বংশগত রোগ। এ রোগে শরীরে আঘাত বা কেটে গেলে রক্ত জমাট বাধা প্রলম্বিত হয়। রোগের তীব্রতা বেশি হলে আঘাত ছাড়াই রক্তপাত হতে পারে এবং অস্থিসন্ধি বা গিরায় বা মাংসপেশীতে বারবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। তিনি হিমোফিলিয়া সকল রোগী যাতে সহজে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক, জরুরি চিকিৎসা এবং সুলভে ফ্যাক্টর, প্লাজমা এবং অন্যান্য চিকিৎসার উপকরণ পেতে পারেন এবং গঁষঃরফরংপরঢ়ষরহধৎু ঞবধস এর সমন্বয়ে ঈড়সঢ়ৎবযবহংরাব হিমোফিলিয়া চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনসহ হিমোফিলিয়া চিকিৎসার সর্বাধুনিক সুবিধাদি সহজলভ্য করার ব্যাপারে সরকারী-বেসরকারী সকল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ রোবেদ আমিন হিমোফিলিয়া রোগসহ নন কমিউনিকেবল চিকিৎসায় সরকারের উদ্যোগের ঘাটতি নেই বলে জানান।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. কাজী ফজলুর রহমান, ডা. ইসমত আরা ইসলাম ও ডা. মোঃ আমিনুর রহমান। রেসিডেন্ট ডা. নাসরিন আক্তার ও ডা. মেহনাজ আশরফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সালাহউদ্দীন শাহ। ।

Loading