আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৮, ২০২২

শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় তীব্র গ্যাস সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বন্ধন করেছে শ্রমিক সংগঠন গুলোর নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন তারা।

বিক্ষোভ শেষে শ্রমিক নেতারা বলেন, এই এলাকা শিল্পাঞ্চল হওয়ায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক এখানে বসবাস করে। তারা তীব্র গ্যাস সংকটে পড়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। শ্রমিকরা সারা দিন কাজ করে বাসায় ফিরে দেখেন গ্যাস নাই। তারা অনেক সময় নিরুপায় হয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়ে রাত যাপন করছেন আবার সকালে কর্মস্থলে যাচ্ছেন ।

এসময় গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা সারোয়ার হোসেন বলেন, আজকের এই মানববন্ধন সরকারের বিপক্ষে নয়। আমরা দাঁড়িয়েছি আমাদের অধিকার নিয়ে। আমরা জানতে পেরেছি তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই এলাকায় অবৈধ গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়। এই অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারনে তীব্র গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। যদি অচিরেই এই সঙ্কট নিরসন করা না হয় তাহলে আমরা এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের নিয়ে তিতাস গ্যাস অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হবো।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা ইমন শিকদার বলেন, দেশের মধ্যে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই এলাকার শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। সেই শ্রমিক কলোনীসহ পুরো এলাকায় লম্বা সময় ধরে গ্যাস নেই।

এটা অত্যান্ত অমানবিক। অতীতে এরকম সংকট ছিল, কিন্তু এবারের সংকট অতীতকে অতিক্রম করেছে। আমরা এই সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস কর্মচারি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আল-কামরান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহিম, সাভার আশুলিয়া ও ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিক,জাতীয় নিট ডাইং গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারোশনের সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন স্বপন ও একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়ার সভাপতি সুলতান মাহমুদ সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Loading