ক্রেতা না থাকায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানি কারকরা। ইতোমধ্যে অনেক আমদানি কারকদের গুদামে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম বলছেন আমদানি কারকরা। অন্যদিকে সাধারণ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের দাম কমলেও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমাচ্ছে না আমদানি কারকরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) হিলি বন্দরের আমদানি কারকদের গুদাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গুদামে আটকে পড়ে আছে পেঁয়াজ। প্রচণ্ড গরমে পচে যাচ্ছে তাদের পেঁয়াজ। পেঁয়াজের গুদামগুলোতে নেই ক্রেতা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব গুদামে ভিড় করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ নিতে আসা ক্রেতারা। আজ তার ভিন্ন চিত্র। ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে পচা পেঁয়াজ নেয়ার ক্রেতা নেই। আবার ভাল মানের পেঁয়াজ তারা বিক্রি করছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে। অল্প খারাপ পেঁয়াজ বিক্রি করছে আমদানি কারকরা ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।

এদিকে হিলি পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তারা ৬০ টাকা কেজি দরে।

হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাইকারি করছি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজের দাম কমে গেছে কিন্তু হিলি আমদানি কারকরা কমাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রচুর পেঁয়াজ এই বন্দরে আমদানি হয়েছে। চাহিদা তুলনায় আমদানি বেশি এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কম হওয়াতে বন্দরে ক্রেতা কমে গেছে। যার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমদানি কারকরা।-আরটিভি নিউজ