ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্ধারণে দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের সংশ্লিষ্টতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত

প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ১৩, ২০২১

প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম ছাত্রদের অংশগ্রহণ ব্যাতিরেকে হয়নি।’৫২,’৬২,’৬৯ ‘৭১ ও ‘৯০ সহ প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্ররাই মূল ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি অনেক বছর অসংখ্য ইস্যু পেলেও জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। অভিজ্ঞ মহল অনেক কারণের মধ্যে ছাত্রদলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে অন্যতম কারণ মনে করেন। কিন্তু বারবার উদ্যোগ নিয়েও সেভাবে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে পারেনি। চট্টগ্রামেও সেই একই অবস্থা। বিশেষ করে উত্তর জেলা ছাত্রদলের কমিটি অনেক আগে গঠিত হয়ে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও কার্যকর সংগঠন দাঁড় করাতে পারেনি। আন্দোলন তো পরের কথা। তাই আবারো চেষ্টা চলছে নতুন কমিটি গঠনের জন্য। এটাও শোনা যাচ্ছে আগে চলমান কমিটির একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবে, তারপর মাসখানেক পর আবার নতুন কমিটি হবে। উক্ত কমিটিতে নেতৃত্বে আসার জন্য অনেকে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নেতাদের সঙ্গে ও ফেসবুকের মধ্যেই সমস্ত তৎপরতা সীমাবদ্ধ। এখানে সাংগঠনিক দক্ষতা গুরুত্ব পাবে কিনা অনেকে সন্দেহ পোষন করছে। সভাপতির জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিতাকুণ্ডের কাজী সেলিম, হাটহাজারীর এইচ,এম হুজ্জাতুল ইসলাম,তকিবুল হাসান তকি, মিরেশ্বরাইয়ের সরোয়ার হোসেন রুবেল । সদস্য সচিব প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালাচ্ছে মিরেশ্বরাইয়ের শহীদুল ইসলাম, সন্দ্বীপের সুজা উদ দৌলা সজীব, রাউজানের শেখ মোহাম্মদ আনিস উদ্দিন ও ফটিকছড়ির বেলাল উদ্দিন মুন্না প্রমূখ। সাবেক ছাত্রনেতারা মনে করেন যেনতেন প্রকারে কমিটি করলে পূর্বের মত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, সাংগঠনিক দক্ষতা ও দলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংশ্লিষ্টতাকে গুরুত্ব দেয়া দরকার। আজকে আসলে কালকে নেতা বানিয়ে দিলে অযোগ্য ও সুবিধাবাদীরা দলে ঢুকে পড়তে পারে। এতে সংগঠনকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানো কঠিন হয়ে পড়বে।

Loading