আদালতে শিউলির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশিত: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ , আগস্ট ২৬, ২০২১

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলি। ঘটনার একমাত্র আসামি শিউলি মঙ্গলবার রাতে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শিউলি আদালতকে জানান, ২০১৪ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৬ সালে তিনি জানতে পারেন দুবাইয়ে সোহেলের সাথে এক মেয়ের সম্পর্ক আছে। সে দেশে আসলেও ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। কিন্তু বিষয়টি সে স্বীকার করতো না।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মাঝে মাঝে সোহেল তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। সংসার খরচের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিত। গত বৃহস্পতিবার ঘটনার রাতে ওই মেয়েকে নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সোহেল মৌখিকভাবে তাকে তালাক দেয়। তালাক দিয়েই সোহেল শিউলির পরিবারের অনেককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। দেনা পাওনা সহ তাকে সকালে এসে তাদের নিয়ে যেতে বলে। এক সময় সোহেল তাকে সংসারের চাবি দিয়ে দিতে বলে। শিউলি বলেন, তখন কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। রাগে ক্ষোভে তাৎক্ষণিক সোহেলকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিই। সোহেল তখনও মোবাইল টিপছিল।

রাগের মাথায় রান্নাঘর থেকে বটি এনে সোহেলের ঘাড়ে কোপ দিয়ে ফেলি। সে বসা থেকে মাটিতে পড়ে যায়। তারপর আরও কয়েকটা কোপ দিয়ে তাকে হত্যা করি। উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার ফেনী শহরের ছুফি সদর উদ্দিন সড়কে একটি বাসায় দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলকে (৩৫) বটি দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্ত্রী শিউলী। ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় র‌্যাব কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শিউলির চাচার বাসা থেকে তাকে আটক করে । ২২ আগস্ট ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করে। সেদিনই পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Loading