নেত্রকোণায় দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখছে এক্সেল ইনস্টিটিউট

প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ , জুলাই ২, ২০২১

নেত্রকোণায় বেকার ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তথা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখছে এক্সেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, নেত্রকোণা। নেত্রকোণা শহরের মোক্তাপাড়াস্থ কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বাড়িতে বিগত ৫ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। খুব মনোরম ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে কমিপউটার বেসিক ট্রেনিং, ফ্রিল্যান্সিং, এডভান্স কোর্স, শর্টহ্যান্ড, ভিডিও এডিটিং, ই-টেন্ডারিং, ফার্মাসি, প্যাথলজি, ভেটেরেনারি ইত্যাদিতে প্রতিবছর প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে র সনদ নিয়ে তারা সরকারী চাকুরী বা শিক্ষা সমাপ্ত বেকারদের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুস্থির সরকার জানান, তিনি ২০১৩ সালে এক্সেল এর যাত্রা শুরু করেন। তখন থেকে মান সম্মত প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষে কাজ করে আসছেন। প্রথমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থাকলেও এখন বাস্তব জীবনধর্মী অনেক প্রশিক্ষণ সংযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে এখন এক্সেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, নেত্রকোণা করা হয়েছে। যা বোর্ডে প্রক্রিয়াধীন।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন পায়। প্রতিষ্ঠান কোড ৫৮১০১। অনুমোদনের  পর থেকেই  সুনামের সহিত কাজ করতে থাকে এবং খুব অল্প সময়েই নেত্রকোণায় একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে। বর্তমানে রেজিষ্টার্ড শিক্ষার্থী রয়েছেন ২৩০ জন। বেকার ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষক বা চাকুরীজীবীরাও এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজেদের মান বৃদ্ধি করতে পারছে ও সহজেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছেন।

জনৈক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সজল সরকার জানান, এক্সেল থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এক্সেল এর প্রশিক্ষকগণ ও পরিচালক খুবই দক্ষ এবং আন্তরিক। তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এখন দক্ষতার সহিত তার সকল কার্যক্রম সম্পাদনা করতে পারছেন। তাতে তিনি খুব খুশি ও আনন্দিত। তিনি আরও জানান, তিনি যে এই বয়সে কম্পিউটার শিক্ষার কাজটি সম্পাদক করতে পারবেন তা ভাবতেও পারেনি। সবটুকু সম্ভব হয়েছে এক্সেল এর জন্য। তিনি এক্সেল এর দিনদিন আরও উন্নতি সমৃ্িদ্ধ করেন।

প্রশিক্ষণার্থী পপি আক্তার জানান, তিনি একটি মাদ্রাসায় চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি খুব অল্প সময়ে কম্পিউটার শিক্ষার কাজটি সম্পন্ন করতে পেরে খুব খুশী। তিনি আরও জানান এক্সেল এর পরিচালনা ও পাঠদান পদ্ধতি খুব প্রশংসার দাবিদার। তিনি আরও জানান কম্পিউটার তিনি ভয় পেতেন আজ নিজেকে একজন দক্ষ অপারেটর হিসাবে ভাবেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী জানান, “এক্সেল এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নি:সন্দেহে প্রশংসনীয় আমার মেয়ে এক্সেল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে এখন কেন্দুয়া কলেজে শিক্ষকতা করছে। আমাদের মত বয়সের লোকজনও এক্সেল থেকে কম্পিউটার শিখতে আসে। আমি নিজেও এক্সেল এর একজন ছাত্র। এক্সেল তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে আমার বিশ^াস।”

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরও সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে। বেকারদের কাছে আহ্বান আপনারা কর্মসংস্থান তৈরী করুন। যদি এক্সেল আপনার জীবনে কর্মের যোগান দিতে পারে একবার তাদের অফিসে যান এবং কথা বলেন, কথা বলে যেকোন একটি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মে যোগদান করুন। কর্মই জীবন। জীবনে কর্মের কোন বিকল্প নাই।

Loading