পূর্ব ধলামূল গাঁও নদীপথে ট্রলার রোধ করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ , মে ২৭, ২০২১

নেত্রকোনা জেলার কৈলাটি নতুন বাজার পূর্ব ধলামূল গাঁও নদী পথে ট্রলার রোধ করে অবৈধ ভাবে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ করেছে ট্রলার মালিক ও স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় লোকজন জানায়, এর আগে কখনো এখানে ফেরিঘাটের ডাক হয়নি। হঠাৎ করে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে, রাতা রাতি ফেরিঘাট এর উদ্বোধন হলো। এলাকার লোকজনদের অজান্তেই পুলিশ প্রশাসন থেকে লোক এসে ঘাটের উদ্বোধন করে যায়। এবং একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে যায়। উক্ত সাইনবোর্ডে লেখা আছে,বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ কিন্তুু সরকারের কোনো সিল না দেখে জন মনে প্রশ্ন ওঠে অবৈধ ফেরিঘাটের ডাক সম্পর্কে। টাকা উত্তোলনের কাজ শুরু হল প্রাক্তন বি,এন পির মেম্বার ও রিসিটের মাধ্যমে এবং ইজারাদারের নাম সানজিদা রহমান। কথিত ইজারাদারের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। কে এই মহিলা সানজিদা রহমান, জানতে আমাদের অনুসন্ধান টিম টলারের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, একই উপজেলায় আমরা আরও তিনটি জায়গায় টাকা প্রদান করে আসছি। এখন বিগত ১৫ দিন যাবত গুনতে হচ্ছে আরো বাড়তি টাকা। এ যেন এক নৈরাজ্য, এক জুলুমবাজী। তারা আরো জানান, বাংলাদেশের কোথাও ভাসান ট্যাক্স দিতে হয় না । এখানে একটি উপজেলায় তিনটি স্থানে টাকা দিতে হয়। এক এক জায়গায় প্রতি ট্রলার এ ২(দুই) থেকে ৩ (তিন) হাজার টাকা।
এ অতিরিক্ত টাকা গুনতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। টাকা দিতে না চাইলে মার ধর করতে চায়। উপরোন্তু বলে, টাকা নেওয়া বন্ধ করতে হলে এক মাত্র ওবায়দুল কাদের ছাড়া আর কারো ক্ষমতা নেই। এবং তিনি বিভিন্ন নেতা ও আত্মীয়দের নাম বলে ভয় দেখান। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সানজিদা রহমান এর সঙ্গে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনি পূর্বধলা থানার ওসির কাছে চলে যান, উনার কাছে সব বিস্তারিত আছে। অথবা আপনি পুলিশ সুপারের কাছে চলে যান অথবা আপনি ডিসির কাছে চলে যান। তাহলে আপনি সবকিছু পেয়ে যাবেন। আমার কাছ হতে জানার চেয়ে, আপনার প্রশাসনের কাছ হতে জানুন।


এই মুহূর্তে তো আমি ঘাটে নাই। ১০০% অনুমোদন আছে বলে, তিনি জানান এবং তিনি আরও বলেন, আমি বি,বি, সি বাংলা চ্যানেল এর সি,ও। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে জানার পর ফোন দিলে, তিনি ফোন বন্ধ করে ফেলেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ওসি বলেন, ঐখানকার লোকজন তাদের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছেন। তাই,এইখানে যেন কোন রকম আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে। সেজন্য তিনি ঐ জায়গায় যান। তিনি আরো বলেন, ঘাট উদ্বোধন করার একতিয়ার পুলিশের নেই। তিনি পারাপারের ফেরিঘাট এর কথা বলেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলার ইউ, এন, ও বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। আমাকে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। এ ঘাট আমাদের উপজেলা কর্তৃক ইজারা দেওয়া হয় না । এ বিষয়ে কারও সঙ্গে আমার কথা হয় নি।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার জেলা প্রশাসক আব্দুর রহমান বলেন, এটা হওয়ার কথা নয়। আমি ইউ, এন ও এবং এসিলেন্ডকে বলে দিচ্ছি বিষয় টা খতিয়ে দেখার জন্য।।

Loading