টেকনাফে রোহিঙ্গাসহ ১৯০ জন ক’রোনা আ’ক্রান্ত, দশদিনের লকডাউন

প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ , মে ২১, ২০২১

কক্সবাজারের টেকনাফে দশদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার (২১ মে) ভোর থেকে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

১৯ মে কক্সবাজার জেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সাথে জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির অনলাইন সভার পর পরই লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এ সভায় করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় টেকনাফ উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়াও রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে দিন দিন রোহিঙ্গাদের মাঝে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সভার সর্বসম্মতিক্রমে ২১ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লাগাতার লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় লকডাউন কার্যকর করাসহ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শাহিনা আক্তার চৌধুরী, সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর প্রমুখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, মে মাসে এখন পর্যন্ত (২০ মে) ১৪৫ জন করেনা আক্রান্ত হয়েছেন। টেকনাফ উপজেলার মধ্যে যে কতিপয় রোহিঙ্গা শিবির রয়েছে এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর মধ্যে ৪৫ জন রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সীমান্ত উপজেলায় বেশির ভাগ লোক করোনা পরীক্ষা করাতে অনীহা রয়েছে। এ অনীহা রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপকতা আরো বেশি। সেই সঙ্গে দিন দিন রোহিঙ্গারা আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কক্সবাজার জেলায় প্রায় দুইশত রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হন। যদি নমুনা পরীক্ষার আওতায় আসতো এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, টেকনাফ উপজেলায় করোনাভাইরাসের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির কারণে শুক্রবার হতে টেকনাফ উপজেলাকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এই লকডাউন চলাকালীন টেকনাফ উপজেলার ভিতরে বা বাইরে কোন পরিবহন/ ব্যক্তি যাতায়াত করতে পারবে না। অর্থাৎ টেকনাফ হতে উখিয়া বা টেকনাফ হতে কক্সবাজার সদর উপজেলায় যাওয়া আসা করতে পারবে না। সেই সঙ্গে হাট বাজার ও দোকানপাট বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে (ওষুধের দোকান/ফার্মেসি ব্যতীত)।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আলাদা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে লকডাউন ঘোষণা করেছে। সব কিছু লকডাউনের আওতায় থাকবে।

উল্লেখ্য, উখিয়া ও কক্সবাজার সদরও লকডাউনের আওতায় আসবে বলে জানা গেছে।

Loading