ভোলায় ৮০ বছর বয়সেও বৃদ্ধের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সাহায্য!

প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ , মে ১৫, ২০২১

ঈদের চাঁদ এখনো আকাশে,এতোটুকু ম্লান হয়নি! চারিদিকে বইছে আনন্দের বর্ণছটা। বিত্তশালীদের রসনা বিলাসে এতোটুকু ছেদ পড়েনি! কিন্তু জন্ম যাদের ব্যর্থতার গ্লানি তে বেড়ে ওঠা, তাদের ভাগ্যে কি ঈদের চাঁদ আনন্দ হয়ে দেখা দিয়েছে?

জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম আবুল কালাম। বয়স ৮০ বছর। পিতা মৃত আবুল হাশেম। হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাট থেকে অল্প উত্তরে নামসর্বস্ব মাথা গোঁজার এতোটুকু ঠাঁই। এক ছেলে, ছেলের বউ আর নাতি-নাতনি নিয়ে বড় অভাব-কষ্টের সংসার! আজ সকালে, ঠিক ঈদের পরদিন, বহুকষ্টে লাঠি ভর দিয়ে লোকটি আমার এ প্রতিবেদকের কাছে আসেন। এর আগেও এসেছেন বহুবার!

অচল প্রায় হাঁটতে পারেনা, এই বৃদ্ধকে আমি জিজ্ঞেস করলাম চাচা,
কেমন কাটলো আপনার ঈদ? তিনি জানালেন দেড় টাকা কেজি চাউল, আড়াই টাকা গরুর গোশতের ভাগ দেখেছি, কিন্তু বাবা এবার ঈদে গরুর গোশতের মুখ দেখেনি, কতদিন গরুর গোস্ত খাই না! তাতে দুঃখ নেই, কষ্ট একটা আমার বয়স্ক ভাতা নেই, সরকারি কোনো সাহায্যও পাই না। ছেলের অভাবের সংসারে যোগান দিতে তাই দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করি। এতটুকু কথা”” বলতে মাঝে মধ্যে বৃদ্ধ কথার খেই হারিয়ে ফেলেন। অভাব তাকে এতোটা চেপে বসেছে যে, তিনি আর অভাবের ঘানি টানতে পারছে না!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বহুবার মানবিক কন্ঠে বলেছেন, একটি গরিব না খেয়ে থাকবে না অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কথার একটু নড়চড় নেই। হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আসে অসহায় গরিবের জন্য ! কোথায় যায় এসব টাকা, কে দেবে এ প্রশ্নের জবাব?

Loading