করোনা পরিস্থিতি ও নেত্রকোণা

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১৫, ২০২১

চিরাচরিত ভাবেই বাংগালি সাহসী জাতি। ভাঙা গড়ার ইতিহাস বাংলার ইতিহাস। ঊনিশবার স্বাধীনতা অর্জনের সাহসী বীরের জাতি বাঙালি। রৌদ্রে, খরায় বৃষ্টিতে, ঝড়ে, সাগরে, নদীতে, যাদের মিতালী ও সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়, সে তারাই। এরা নির্ভীক, এরা বিজয় আনতে জানে, জানে দেশের জন্য জীবন দিতে। সে জাতিই নাকি পাবে জুজুর ভয়। করোনর প্রথম থাবা সামলিয়ে পেরে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় থবার প্রভাব। এখন শুধু খেটে খাওয়া মানুষের চোখে ধোঁয়াশা। আতংকিত শুধু অভাবে। কেবল তাদের পেটে হাত। মানুষ এখন অর্থনৈতিক অবস্থাকে জয় করতে চায়। মানুষ ক্ষুধার ভয়ে দিশেহারা। হিট শকে ডিংগাপোতা হাওরের বিশাল শস্য ভান্ডার শেষ। তারপর শিলা বৃষ্টি শেষ করে দিল নেত্রকোণার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের স্বপ্ন। যেখানে মানুষ খাবার নিয়ে,পেট নিয়ে ব্যস্ত সেখানে অন্য চিন্তা তাদের মাথায় কাজ করে না। করোনাকে তারা বিপদ ভাবে না,ভাবে আপদ। ইতোমধ্যে গরিবদের অর্থাৎ দিন আহারিদের ঘরে টান টান হাভাত হয়েছে। তবে যাই হোক, এ পরিস্থিতি যেন দুর্ভীক্ষের দিকে না নিয়ে যায়, তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থণা। করোনা কে প্রতিহত হয়ত করতে পারবনা তবে ঢাল হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে তো চলতে পারব। এ দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থণা ছাড়া গতন্তর নেই। তাই মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মাগফিরাতের ব্যবস্থার দাবি রাখি। আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হবে এবং সহানুভূতির হাত আসবে নেত্রকোণার খেটে খাওয়া মানুষের উপর।

Loading