দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও রমজান

প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৭, ২০২১

প্রতি বছরের ন্যায় আবারো ফিরে আসা সামনে রমজান। আমরা জানি, মুসলিম হৃদয়ে নিয়ে আসে এক অনবদ্য ভিন্ন ইমেজ তার স্বকীয় মহিমায়। এ মাসের জন্য মুসলমানদের প্রস্তুতিটা দু এক মাস পূর্ব হতেই শুরু হয়। অন্যান্য মাসের চেয়ে কেনা কাটা একটু বেশি। কিন্তু এ মাসের পূর্বাভাসে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি সাধারণ হয়ে পড়েছে। এমনিতেই বিগত দিন গুলোতে শাক সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুর মূল্য রেকর্ড পরিমান ইতিহাস গড়েছে। গত বছরের পিয়াজের মূল্যের ভয়ে এবার ক্রেতারা আগে বাগেই পিয়াজ কিনতে শুরু করেছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা ও অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন। এ বছর মূল্য চড়াও হয়েছে সয়াবিন আর চালের উপর। মাছে ভাতে বাঙালি, ডাল ভাতে বাঙালি যাই বলি না কেন, সাধারণ ভোক্তাদের মহাবিপদ। লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাধারণ ক্রয় ক্ষমতার মানু্য গুলো হতাশায় দুশ্চিন্তায় গুণতে হয় মাসের দিন গুলোকে নিয়ে। নীরবে নিভৃতে মানুষের কষ্টবোধটা ছাই চাপা আগুনের মতই জ্বলে। কম আয়ের লোক, শ্রমিক মুজুরের আর অসহায়দের কথা ভাবা এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনের দাবি রাখি।
এ প্রসংগে, কাঁচামালের এক আড়ত ব্যবসায়ী বলেন, যারা পরে কিনবে তারা আরো সস্তায় কিনতে পারবে। ক্রেতাদের অগ্রিম কেনা কাটাই ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির কারণ বলে তিনি মনে করেন।
রমজান মাস সংযমের মাস,ত্যাগ তিতীক্ষার মাস,সহানুভূতির মাস,আধ্যাত্বিক চেতনার মাস। আসলে ত্যাগের শিক্ষাটা আমরা কেহই নিতে পারি না, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের অবস্থানে সুদূঢ থাকতে চাই। গলা কেটে হলেও লাভবান হতে চাই।
এ মাসের ত্যাগের শিক্ষাটা গ্রহণ করি। গরিবের উপর নিষ্ঠুরতা কমিয়ে একটুকু মানবিক হতে শিখি। ত্যাগের মাঝেই মনুষত্বের পরিচয়। এ লক্ষে সরকার বড়ই সংবেদনশীল। এ পরিস্থিতিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জন মনের আবেদন যেন দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে।

Loading