পঞ্চম দফায় ভাসানচর যাচ্ছে আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ৩, ২০২১

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পঞ্চম দফায় আরও তিন হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছেন। আজ বুধবার (৩ মার্চ) নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় তিনটি জাহাজযোগে যাবে এক হাজার ৭০ জন। বাকি রোহিঙ্গারা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

আজ যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচর যাবে তাদের মঙ্গলবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ বিএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বে ৪ দফায় প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর গেছেন। এবার পঞ্চম দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাচ্ছে আরও প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা।

এদিকে আজ যেসব রোহিঙ্গারা ভাসানচর যাবে তাদের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরের পর উখিয়া থেকে ২১টি বাস যেগে এসব রোহিঙ্গা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, তৃতীয় দফায় ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন এবং চতুর্থ দফায় ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যান।

মূলত ভাসানচরে উন্নত বসবাসের সব রকম সুযোগ সুবিধা থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফের ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠে।

প্রসঙ্গত, ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছিলো। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

Loading