চকবাজারের মৃত ব্যক্তিকে চাঁদাবাজি মামলার আসামি

প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ , জানুয়ারি ১৭, ২০২১

মৃত্যুর ৭ বছর পর ২ ব্যক্তিকে চাদাঁবাজী মামলায় আসামি করা হয়েছে চট্টগ্রামের চকবাজারে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ৮২ বছরের এক বৃদ্ধাকে, যিনি শারীরিকভাবে বয়সের ভারে অক্ষম হয়ে পড়েছেন । চট্টগ্রামে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মৃত আহমদ ইফতেখার রসূল এবং মৃত হাসিনা বেগমকে চাঁদাবাজি মামলার আসামি করে এবং ৮২বছরের বৃদ্ধ নুরনাহার বেগম কে মামলার প্রধান আসামি করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাটি করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক এবং প্রাইভেট পিপলস হসপিটাল এর পরিচালক ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ বণিক ।

যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কেউ মামলা করতে পারেন, তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে সত্য ঘটনা বের করে নিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক । অস্বাভাবিক হলো মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা ।মৃত ব্যাক্তি কবর থেকে উঠে এসে চাদা দাবী করায় চট্টগ্রাম শহরের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে । আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।

মামলার বাদী ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ মামলায় উল্লেখ করেছেন আসামীগণ অত্যান্ত দুর্দান্ত, দুষ্ট প্রকৃতির হয় এবং ৮ থেকে ১১ নং আসামির প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় ও নির্দেশে ১ থেকে ৭ এবং ১২ থেকে ১৫ নং আসামি জোরপূর্বক বাদীসহ সাক্ষীদের মালিকাধীন ফ্ল্যাটের নেমপ্লেট লাগিয়ে দে এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ।
উল্লেখ্য ৮২ বছর বয়স্ক মহিলা নুরনাহার বেগম হাঁটাচলা করতে পারেন না,বিছানায় শুয়ে আছেন,বাদীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এবং প্রবেশে বাধা দেওয়া প্রসংগে জিজ্ঞেস করলে নুরনাহার বেগম বলেন বাবা দেখতেই পারছেন আমি তো ঘর থেকে বের হতে পারি না । ৯ নং আসামী মৃত ব্যক্তি আমহ্দ ইফতেখার রসূল এবং ১০ নং আসামী মৃত হাসিনা বেগম কিভাবে কবর থেকে উঠে কাজে বাধা দিলেন এবং চাঁদা দাবি করলেন এ বিষয়ে ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ বণিক বলেন, মামলার তদন্ত চলাকালীন উনি কোন মন্তব্য করতে পারবেন না। মৃত ব্যক্তিকে আসামী করা প্রসংগে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার শামীম বলেন তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য মামলাটি পাঁচলাইশ থানায় পাঠানো হয়েছে । পাঁচলাইশ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই ইমরুল বলেন মামলার কপিটি আমার কাছে এসেছে আমি যাচাই বাছাই করছি।

Loading