এলাকায় থমথমে

রাজনগরে রেজান বাহিনীর হামলায় আহত ১০

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ৬, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা: সন্ত্রাসী ও কবরের জায়গা দখলকারী রেজান বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন ১০ ব্যক্তি।তাদের হামলা-মামলার শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রামবাসী।

জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পায় রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামের অধিবাসী যুবলীগ নামধারী রেজান।

টাকা পেয়ে সে এলাকার শত বছরের পুরানো কবরস্থানের উপর দিয়ে ইট সলিঙ্গের কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী তাকে বাধা প্রদান করেন। পরে তিনি ইট উত্তোলন করে তার নিজ বাড়ির রাস্তা নির্মাণ করেন। কবর স্থান দখল করার দুরভিসন্ধি ব্যর্থ হলে গ্রামের অধিবাসীদের উপর রেজান তার মাস্তান বাহিনী নিয়ে হামলা-মামলা চালান। এ নিয়ে তিনি হয়রানি মূলক একের পর এক মামলা গ্রামবাসীর ওপর করেন।গ্রামবাসী থানায় রেজান বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে তারা মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন রেজান গংদের বিরুদ্ধে। রেজান বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন নিপিড়ণের সংবাদ স্থানীয় ও জাতীয় কয়েকটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হলে রেজান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। নিউজ ৭১ এ সংবাদ প্রকাশ হলে সম্পাদককে রেজান বাহিনী টেলিফোনে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে।

 

এই সংবাদের জের ধরে রেজান বাহিনী স্থানীয় আখড়ার ঘাট বাজারে ৩ ডিসেম্বর বিকেল পৌনে পাচটার দিকে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন কালাম, মাতাব, মান্না, শওকত, শহীদ, কামাল,রহিম সহ প্রায় ১০ ব্যক্তি।

এ বিষয়ে রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে। রাত বাড়লে গ্রামবাসী আহতদের পরের দিন আসলে মামলা নেয়া হবে বলে থানা থেকে বিদায় করে দেয়।

গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ দাখিল করতে আসা শাহনেওয়াজ, হাফিজ জাকির হোসেন ও তার সাথীদের কে সন্ত্রাসী রেজান বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়। তারা শাহ নেওয়াজ এর মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় আহত হাফিজ জাকির হোসেন ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গ্রামের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বেজান বাহিনীর ভয়ে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সুধি মহল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Loading