ভুমিদস্যু ও অস্ত্র কারবারী বার্মাইয়া কামাল ধরা ছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ১, ২০২০

মাদক ও অস্ত্রের ঝনঝনানী এবং ভুমি দখল- বেদখল করে বায়োজিদ এলাকাকে অশান্ত জনপদে পরিণত হয়ে পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে।কিশোর গ্যাং এর উৎপাত লেগেই আছে।শান্তিতে নেই এই অঞ্চলের জনগণ।আইন -শৃংখলা বাহিনীও অজানা কারণে কোথাও যেন জিম্মি হয়ে আছে।এক ভিনদেশী ব্যাক্তি রাম রাজত্ব কায়েম করেছে এখানে।ওই ব্যাক্তি বার্মাইয়া কামাল নামেই এখানে সমধিক পরিচিত।তার একার নামে রয়েছে এন্তার অভিযোগ।আমাদের অনুসন্ধানে বার্মাইয়া কামালের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা, ১২টি অভিযোগ ও ১টি জিডির বিবরণে পিলে চমকানো তথ্য মিলছে । তার বিরুদ্ধে দুটো গ্রেফতারী পরওয়ানাও রয়েছে। তবু সে দিব্যি অপরাধ চালাচ্ছে যেন কেউ বাঁধা দেবার নেই।

সুত্রমতে,বার্মাইয়া এই কামালের বাড়ী চট্টগ্রামে নয়। সে উখিয়াবাসী হিসেবে সবাইকে পরিচয় দেয়।আদতে তার বাড়ী বার্মা ।সে বার্মা থেকে কোন এক সময় উখিয়ায় আসে । বিভিন্ন মামলা সুত্রে জানা গেছে, সে মৃত নুর আহমদ এর ছেলে।তার স্ত্রীও তার অবৈধ সব কাজের সহযোগী।তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক বিক্রিসহ অসংখ্য অভিযোগ। রয়েছে তার কথিত শালা কালুর নামেও নানা অভিযোগ।তাকে সবাই ডাকাত কালু নামে এখানকার লোকেরা চিনে। বার্মাইয়া এই কামালের পুরো পরিবারটাই অপরাধ লালন পালনের যেন এক দূর্ধর্ষ ঘাঁটি। স্ত্রী হোসেনেরা বেগম তার স্বামী বার্মাইয়া কামাল ও তার কথিত ভাই কালুর সব তথ্য জানে ।

জানা গেছে, ইতিপূর্বে কালু অস্ত্র মামলায় ১বছর জেলও খেটেছে।তার কথিত দুলা ভাই কামাল একসময় দিনমজুর ছিল।রিকসাও চালাতেন।ওই সময় সে মাদক ও জুয়ার নেশায় পড়ে থাকত।তার স্ত্রী হোসেন আরার বাড়ী কক্সবাজারের উখিয়ায়।

বার্মাইয়া কামাল, হোসেন আরা ও কালুর রয়েছে মাদকাসক্ত বিশাল কিশোর গ্যাং । বিভিন্ন অপরাধে নিজেরা ও কিশোর গ্যাংদেরও তারা কাজে লাগায়। কালুর নামে গ্রেফতারী পরওয়ানা রয়েছে।এই বার্মাইয়া কামাল জনৈক আবদুল আহাদের নামে নিরিহ মানুষকে ডর-ভয় লাগায়।এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নামও সে জাহির জাহির করে থাকে।

আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আবদুল আহাদের বাড়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকেন।তার সাথে সাতকানিয়ার জনৈক ব্যবসায়ী জামাল আহমেদের জায়গা সম্পত্তি নিয়ে রয়েছে বিরোধ।জামাল আহমেদ কে ঘায়েল করতে বার্মাইয়া কামাল গ্রুপকে আবদুল আহমদ কাজে লাগায়।

জানা গেছে, আবদুল আহাদের দুই বিস্বস্ত সহযোগীকে বার্মাইয়া কামাল রহস্যজনক ভাবে ও অজানা দেনদেনে পক্ষে নেয়। ওই দুই সহযোগীর কথা বিশ্বাস করে আবদুল আহাদ। ওই দুইজনের একজন হলেন জহুরুল করিম ও অন্যজন হলেন নুরুল আজম।জহুরুল করিমের বাড়ী শিকলবাহা আর নুরুল আজমের বাড়ী সাতকানিয়ায়। নুরুল আজম থাকেন শহরের এম. এম. আলী রোডে।আবদুল আহাদের পক্ষে নিয়ে নেতা মামুনও লাভবান হন বলে গুজব রয়েছে।জায়গা-সম্পত্তি রক্ষা, আধিপত্য বিস্তার ও জামাল আহমেদকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য আবদুল আহাদ প্রতি মাসে বিপুল অংক খরছ করে।যার অধিকাংশ পায় বার্মাইয়া কামাল।

বার্মাইয়া কামালের বিরুদ্ধে শুধু বায়েজিদ থানায় মামলা রয়েছে ৫টি। মামলা নং ৪২/৪২৯ তারিখ ২৬/১০ /২০১৬ , ১৭/৪০৪ তারিখ ১০/১০/২০১৬, ১৭/৩১৩ তারিখ ৭/৮/২০১৮, ২০/৩৭৫ তারিখ ২১/০৯/২০২০, ২৯/৩৮৪ তারিখ ২১/৯/২০২০। একই থানায় অভিযোগ রয়েছে ১১টি।এই ১১টি অভিযোগকারীরা হলেন, সোহেল ( ০১৮৮১- ৮২১৭৩৬) তারিখ ২০/০৮/২০২০, বিবি রহিমা ( ০১৮৬৭ ৪৭৭৪৪০) তারিখ ২৬/৫/২০, পারভিন আকতার ( ০১৭২৬ ২৩৯৬৬৯) তারিখ ৩/৮/২০, নুর জাহান তারিখ ১৬/১১/১৯, উম্মে হাবিবা ( ০১৮৭৪ ৫১২৯৫৮) তারিখ ৫/৮/২০, মোহাম্মদ জাফর ( ০১ ৮৭৫ ৯৯২৬৪০) তারিখ ১৯/৩/২০, নুরুর হক মান্না ( ০১৯১৭ ৮৮৪৫৪৪) তারিখ১৬/৩/২০, মোহাম্মদ মোরশেদ ( ০১৯৭৯ ৩৩৫৮২৫) তারিখ ৫/৮/২০, নেজাম উদ্দিন ( ০১৮১২ ২২৩১৯৮) তারিখ ৫/৮/২০, নেজাম উদ্দিন ( ০১৮১২ ২২৩১৯৮) তারিখ ২৫/২/২০, পারভিন আক্তার ( ০১৮১৮ ৫৭২১৮২) তারিখ ১৩/১০/১৯।বার্মাইয়া কামালের বিরুদ্ধে আদালতেও রয়েছে মামলা।মামলা টি জনৈক পারভিন আকতার করেছেন। মামলা নং ৩৫৪/ ২০ তারিখ ২২/৯/১৯।

এদিকে খুলশী থানায়ও রয়েছে জিডি।সংবাদে উল্লেখিত জামাল আহমেদ এই জিডিটি করেন।জিডি নাম্বার ৪২৯তারিখ ১০/৮/১৯।ডাকাত কালুর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা ও জিডি রয়েছে।বায়েজিদ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা নং ২৯/৩৮৪ তারিখ ২৯/৯/২০ ।

জানা গেছে, এসব অভিযোগ ও মামলায় রয়েছে ভয়াবহ সব তথ্য ।জমি দখল, অস্ত্রবাজী, চাদাঁবাজ,অণ্ডিকাণ্ড, মাদক পাচার ও বিক্রি বিষয়ে এসব মামলায় অভিযোগ হয়েছে।বার্মাইয়া কামালের মামলায় হোসেন আরাও অভিযুক্ত ।

Loading