ই-পাসপোর্টের দিকে ঝুঁকছে চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ , অক্টোবর ৩০, ২০২০

ই-পাসপোর্ট হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি নিরাপদ ভ্রমণ দলিল। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) চাহিদা কমার সমান্তরালে বেড়েছে ই-পাসপোর্টপ্রত্যাশীর সংখ্যা। চলতি বছরের শুরুতে দেশে ই-পাসপোর্ট প্রচলনের পর থেকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়।

নগরের ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদে বিভাগীয় এবং পাঁচলাইশ থানাধীন পাঁচলাইশ এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় ঘুরে দেখা যায়, এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার লাইন বড়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপ্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল নুরুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর পর থেকে দিন দিন এমআরপির জন্য আবেদন কমছে। ই-পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে। ই-পাসপোর্টপ্রত্যাশীরা যাতে পাসপোর্ট অফিসে এসে কাক্সিক্ষত সেবা পান সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে এরই মধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার আবেদনকারী ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এ ছাড়া তিন শতাধিক ই-পাসপোর্ট প্রিন্টের অপেক্ষায় আছে। অন্যগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ কার্যালয়ের পরিচালক আবু সাঈদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সর্বশেষ গত তিন সপ্তাহে এমআরপির চেয়ে ই-পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। আমরা ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উৎসাহিত করছি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্টধারীরা নিজেরাই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। আরো অনেক সুবিধা রয়েছে ই-পাসপোর্টে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বড় এ দুই পাসপোর্ট কার্যালয়ের পাশাপাশি বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আরো কয়েকটি পাসপোর্ট অফিস রয়েছে। এসব কার্যালয়ের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন লে. কর্নেল নুরুল আলম। পাসপোর্ট অফিগুলো ঘিরে গড়ে ওঠা দালালচক্র ঠেকাতে এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাসপোর্টপ্রত্যাশী জনগণকে দালালচক্রের হয়রানি থেকে মুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির এই পাসপোর্টের আবেদন করার ক্ষেত্রে তাদের ওয়াকিফহাল করতে, বিষয়টি সহজে বুঝিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার চায় ইমিগ্রেশনপ্রক্রিয়া সহজ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যাতে জটিলতামুক্ত হয়ে এবং দালালদের উপদ্রব ছাড়াই পাসপোর্ট হাতে পায়। আমরা পাসপোর্ট অফিসকে দালালচক্রের হয়রানিমুক্ত করতে মনিটরিং করছি সারাক্ষণ। এই প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য পাসপোর্ট আবেদনকারীসহ সব মহলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে পাসপোর্টধারীর সঠিকতা নিশ্চিত করা যায় খুব দ্রুত। যে কারণে প্রকৃত পাসপোর্টধারী ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি ই-গেট অতিক্রম করতে পারবে না। এই পাসপোর্ট ব্যবস্থায় অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প সময়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যায়।##কালের কণ্ঠক

Loading