স্বামীর সংসার থেকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে ; অতঃপর প্রতারণা

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

দুটো ফুটফুটে সন্তান আর স্বামীর সোহাগে বেশ ভালই কাটছিল মোসাম্মৎ কাজলের দাম্পত্য জীবন। প্রবাসী স্বামী তার উপার্জনের সবটুকুই সন্তানদের এবং স্ত্রীর সুখ-শান্তির জন্য পাঠিয়ে দিতেন মাসের মাহেনা হাতে পেয়েই । দুই সন্তান আর স্বামীর ভালোবাসায় বেশ ভালোই কাটছিল কাজল দম্পতির সংসার কিন্তু বাধসাদে পুরনো প্রেমিক জাফর ইকবাল। প্রথম জীবনে প্রেমের সম্পর্কে জীবন যৌবন লুফে নিলেও বিয়ে করেননি লম্পট জাফর ইকবাল। অবশেষে কূলকিনারা না পেয়ে ভুক্তভোগী মোসাম্মৎ কাজল তার পরিবারের ইচ্ছায় সংসার পাতেন প্রবাসী স্বামীর সাথে। কাজল সংসার পাতার পরপরই যেনো লম্পট প্রেমিক জাফর ইকবালের নষ্ট প্রেম উথলে উঠে। আবার ফিরে আসার জন্যে বিভিন্ন ভাবে কাজলকে চাপ দিতে থাকে। কখনো কাকুতি-মিনতি আবার কখনো বিভিন্ন ভয় ভীতি। এভাবেই চলতে থাকে কাজলের জীবন সংসার। বছর ঘুরতেই কাজল মুখ দেখলো তার ফুটফুটে এক পুত্রসন্তানের। আবার বছর দুয়েকের মাঝেই কাজলের সংসারকে আলোকিত করে ঘরে এলো এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান । কাজলের সংসারে এখন সুখেদের উপচে পড়া ভিড়। তার সুখ যেন আর সইছিলই না । কোনভাবেই পিছু ছাড়ছিল না লম্পট পুরনো প্রেমিক জাফর ইকবাল। কাজলের প্রবাসী স্বামী বিদেশে পড়ে থাকার কারণে জাফরকে থামানো কিংবা কাজলের পাশে দাঁড়ানোর মতো ছিল না তেমন কেউ। কখনো জাফর ইকবালের আকুতি আবার কখনো কাজলকে না পেলে বিষপানে আত্মহত্যার হুমকি কোন কিছুই কাজলের মনকে গলাতে পারেনি। এক দুই করে কাজল দম্পতি পা রাখেন সাত বছরে। এদিকে ধিরে ধিরে সন্তানরা বেড়ে উঠছে।
কোন ভাবেই যখন কাজলের মন গলাতে পারেনি লম্পট প্রেমিক জাফর ইকবাল তখন সে নতুন ফন্দিআটে।

এবার জাফর ইকবালের চোখ কাজলের সন্তানদের দিকে। সে কাজলকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যদি জাফর ইকবালের কাছে ফিরে না আসে তাহলে হত্যা করা হবে কাজলের সন্তানদের। পাশাপাশি জাফর ইকবাল প্রতিশ্রুতি দেন কাজল ফিরে আসলে দুই সন্তানকে নিজের সন্তান মেনে সংসার শুরু করবেন। এরই মাঝে কেটে দীর্ঘ সাত বছর এবং ধিরে ধিরে এসব বিষয় প্রবাসী স্বামী পর্যন্ত পৌঁছালে স্বামীর সংসারে শুরু হয় নতুন সংকট। স্বামীর অবিশ্বাস সংসারে জন্ম দেয় নতুন অশান্তির। সুখের রাজ্যে শুরু হয় আগ্নেয়গিরির অনল। সব মিলিয়ে দিশেহারা কাজল। কি করবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। জীবনে এমন কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে আর সুখের সংসারে এমন অগ্নুৎপাত হবে ছিলোনা কাজলের কল্পনায়ও। স্বামীর অবিশ্বাসের আগুনে দিন দিন বেড়েই চলেছে আস্থাহীনতা আর অবিশ্বাস । জীবনের শেষ ঠিকানা স্বামীর সংসার যখন ভেঙ্গে যাওয়ার পথে অন্যদিকে নিজের সন্তানদের নিরাপত্তাহীনতা আর জাফরের পাগলামি সব মিলিয়ে অন্তত বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য কাজল সিদ্ধান্ত নেয় নিজের জন্য না হলেও তার দুটি সন্তানের সুখ ও নিরাপত্তার কথা ভেবে পাড়ি জমাবেন পুরোনো প্রেমিকের সাথেই।

করলেনও তাই। রাতের আধারে জীবনের সমস্ত সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে নতুন জীবনের সন্ধানে পুরোনো প্রেমিকের হাত ধরে সন্তানদের সাথে নিয়েই এখন থেকে সাত বছর আগে নতুন জীবন শুরু করেন ঢাকার সাভারের কলমা এলাকায়।

পুরনো প্রেমিককে আবারো বিশ্বাস করে কোনরকম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ধর্মীয় রীতি মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। কাজল চাকরি নেন একটি পোশাক কারখানায়। দুই সন্তান আর বেকার স্বামীর পড়ালেখার খরচ । টানাটানির সংসার। কোন রকম ডাল ভাত খেয়ে চলছে তাদের সংসার। এখানেও কাজল সুখেই ছিলেন। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও সংসারে সুখের অভাব ছিল না। জাফর ইকবালের সাথেও বেশ ভালো ভাবেই চলছিল কাজলের নতুন সংসার। বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের কথা বল্লেই জাফর ইকবাল বিভিন্ন বাহানায় কালক্ষেপণ করতে থাকে। প্রায় সাত বছর ধরে এভাবেই চলছিলো কাজল জাফরের সংসার। সাত বছরের মধ্যে সাভারের কলমা এলাকায় প্রায় চারটি বাসা পরিবর্তন করে একসাথেই থাকছিলেন তারা।

এক সময় জাফর সিদ্ধান্ত নেয় তারা আর ঢাকায় থাকবেননা। নিজের এলাকায় গিয়ে সংসার পাতবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। কাজলকে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করেন জাফর ইকবাল। পরে তারা ঢাকা ছেড়ে একসাথে গ্রামে পারি জমালেও কাজল উঠেন তার বাবার বাড়িতে। কথা ছিলো জাফর তার বাবা মাকে রাজি করিয়ে ক’দিন বাদে নিজ বাড়িতে উঠাবে।

কাজল তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। সামাজিক ভাবে বিষয়টি জানাজানি না হলেও ইসলাম সম্মত ভাবে যেহতু তারা স্বামী স্ত্রী তাই প্রায় প্রতি রাতেই জাফর ইকবাল কাজলের সাথেই রাত্রি যাপন করতেন। ভোর হওয়ার আগেই সজ্জা ত্যাগ করতেন।

এক দিন মধ্য রাতে হঠাৎ কাজলের ভাবি জাফর ইকবালকে কাজলের ঘরে একান্তে দেখে ফেলেন এবং কাজলকে নানা ভাবে প্রশ্ন করেন। তখন কাজল জাফর ইকবালকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিলেও জাফর পারিবারিক চাপে অস্বীকার করেন। পরে বিষয়টি আশপাশের লোকজন ও এলাকাবাসীর নজরে আসলে এলাকায় সৃষ্টি হয় ভিন্ন রকম এক পরিস্থিতির।

পরবর্তীকালে এলাকায় একটি গ্রাম্য সালিশ এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে নেতৃস্থানীয় লোকদের সাথে অবৈধভাবে টাকাপয়সা লেনদেন করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অস্বীকার করে শুধু মাত্র প্রেমের সম্পর্কের জেরে অবৈধ মিলামিশা হিসেবে বিষয়টি মূল্যায়ন করে জাফরকে কিছু অর্থনৈতিক জরিমানা করে কাজলকে অপমান ও সতর্ক করে ব্লাঙ্ক পেপারে দস্তখত নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।

০৩-০৬-২০২০ তারিখে বিষয়টি মীমাংসার নামে কাজলের সাথে প্রতারণা করা হলে দুই কূল হাড়িয়ে লজ্জা আর অপমানের বুঝা মাথায় নিয়ে ০৪-০৬-২০২০ তারিখ রাতের আধারে আবার ঢাকায় ফিরে আসেন কাজল।

এবারও সেই পুরনো অভ্যাস। নিজের ভুল স্বীকার করে কাজলকে আবারো কাকুতি মিনতি। চার তারিখ সন্ধ্যা থেকেই কাজলকে ফোনে তার ভুল স্বীকার করে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে এবং আবার পুনরায় সংসার করার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। সহজ সরল পথহারা কাজল পথের খুজে আবারো ধিরে ধিরে বিশ্বাস করতে শুরু করে লম্পট জাফর ইকবালকে। আবারো স্বপ্নের নতুন যাত্রা। প্রায় তিন মাস মোবাইলে আকুতি মিনতিতে আবার গলে গেলো কাজল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা হয় তারা এবার কোর্ট মেরিজের মাধ্যমে নতুনসংসার শুরু করবেন। জাফর ইকবালের দেয়া তারিখ অনুযায়ী অফিস থেকে ছুটি নেন কাজল এবং ১০-০৯-২০২০ তারিখে কোট মেরেজ করে সংসার পাতার জন্য এসে উপস্থিতও হলেন জাফর ইকবাল। তার পর এডভোকেট ও স্থানীয় সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে কোর্ট মেরিজ সম্পন্ন হয় এবং ছোটখাটো আয়োজন শেষে উপস্থিত সবাইর সাথে রাতের খানা পিনা শেষ করে কাজলের সাথে আবার শুরু করেন নতুন পথচলা।

ঘঠনা ক্রমে তার বাবা হসপিটালে ভর্তি থাকায় ১১-০৯-২০২০ তারিখ সকালে সে তার বাবাকে দেখার উদ্দেশ্যে যান এবং বলেন সে গ্রামে গিয়ে আবার সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজলকে বাসায় নিয়ে যাবে।

কিন্তু সে কাজলকে বাসায় উঠানোর পরিবর্তে ১৪-০৯-২০২০ এ কাজলের নামে ঢাকা জজকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। ধারণা করা হচ্ছে জাফর ইকবাল আবারো তার পরিবারের চাপেই এমনটি করেছেন।

মামলার অভিযোগেও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটি অস্বীকার করে জোরপূর্বক কোর্ট মেরিজের অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায় কাজল দম্পতি প্রায় সাত বছর ধরে সাভারের যে চারটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সাভার এলাকার কলমা বাসস্ট্যান্ডের পাশে বাড়িওয়ালী আনোয়ারা প্রতিবেদককে বলেন জাফর ইকবাল ও কাজল তাদের দুই সন্তানসহ আমার বাড়িতে প্রায় তিন বছর ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন। তাদের সংসার বেশ ভালো ভাবেই চলছিল এবং কখনোই কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা দেখিনি বা শুনিনি। জাফর ইকবাল নিজেও আমি সহ বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সাথে বেশ ভালো আচরণ করতেন। তবে জাফর ইকবাল সবসময় থাকতেন না। কোন মাসে ১৫ দিন কিংবা কোন মাসে ১০ দিন আবার কোন মাসে তিন চারদিন জাফর ইকবাল আমার বাসায় থাকতেন।

বাসার ভাড়াটিয়া স্কুল শিক্ষিকা বলেন আমি কাজল ভাবির পাশের রুমে থাকি। আমি তাদেরকে প্রায় তিন বছর যাবত চিনি। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। আমরা জানতাম না এই সন্তান অন্য স্বামীর কিংবা তাদের আগে বিয়ে হয়েছে। বেশ ভালোভাবেই এখানে ছিল।

জাফর দম্পতি চৌরাস্তার মোড়ে প্রায় দুই বছর এবং এবং দুই নম্বর কলমায় তিন বছরের কিছু বেশি সময় ভাড়ায় থেকেছেন । এর সত্যতা নিশ্চিত করেন বাড়িওলা এবং ভাড়াটিয়ারা।

সর্বশেষ কাজল যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সে বাসার মালিকের জামাই এবং গোটা বাসাটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নাঈম হোসেন বলেন , আমার দোকান একই বিল্ডিং এর দুই তলায় এবং কাজল এবং জাফর ইকবাল আমার কাছ থেকে রুম নিয়েছে চার তলায়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কাজল এবং জাফর ইকবাল একদিন আমার দোকানে আসেন এবং তারা কোট মেরেজ করবেন বলে আমাকে জানান এবং আমার সহযোগিতা চান। আমি জানতে চাইলাম আপনাদের তো সন্তান রয়েছে তাহলে ? তখন তারা আমাকে উত্তর দিলেন দেখুন এটা অনেক লম্বা ঘটনা। আমরা অনেক বছর যাবত সংসার করছি, ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছি। আমাদের কোনো ডকুমেন্টস নেই তাই আমরা একটি ডকুমেন্ট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। সেজন্য আমরা প্রথমে কোর্ট মেরেজ করতে চাচ্ছি এবং আপনার সহযোগিতা চাচ্ছি। কাজল জাফরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমি তাদেরকে আমার দোকানের পাশেই উকিলের চেম্বারে নিয়ে যাই এবং বাড়িওয়ালা হিসেবে তাদের কোট মেরেজে সহযোগিতা করার জন্য উকিল সাহেবকে রাতে চার তলায় কাজলের রুমে গিয়ে কোট মেরেজ সম্পন্ন করার অনুরোধ করি। পরবর্তীতে সেখানে উকিল সাহেব আসলে আমি সহ স্থানীয় কয়েকজন সাক্ষীসহ আমরা কোট মেরেজ সম্পন্ন করি।

কিন্তু কোট মেরেজ পরবর্তী সময়ে কাজল সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ১৪-০৯-২০২০ তারিখে জাফর ইকবাল জোরপূর্বক তাকে কোট মেরেজ করানো হয়েছে মর্মে যে মামলাটি করেছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে এটি ভূয়া এবং মিথ্যা বলে দাবি করেন মোহাম্মদ নাঈম হোসেন। তার দাবি এই কোট মেরেজ স্থানীয়দের সাক্ষী এবং সে নিজে থেকে জাফর ইকবালের অনুরোধে কোট মেরেজ সম্পন্ন করেন।

ভুক্তভোগী কাজল এ প্রতিবেদককে জানান তার জীবনের শুরু থেকে এই পর্যন্ত নানাভাবে জাফর ইকবাল তাকে হয়রানি করেছে, আমাদের সাত আট বছরের সংসার জীবনে বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের কাছ থেকে টাকা পয়সাও এনে দিতে বলতেন। মাঝে মাঝে এসব টাকা পয়সা নিয়ে কিছু ঝামেলাও হতো। আমি আমার বাড়ি থেকে কোনো অর্থ সহায়তা এনে দিতে না পারলেও আমার উপার্জনের প্রায় সব টাকাই জাফর ইকবালকে দিতাম। ভালো ভাবেই চলছিলাম। আমি সারা জীবন চাকরি করে প্রয়োজনে জাফর ইকবালকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিব। আমার জীবনে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে আর এর সব হয়েছে শুধু জাফরের জন্য। আমি সবকিছু ভুলে যেতে চাই। বলতে চাই আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে যে মামলা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার বিশ্বাস এ মামলাটি জাফর করেননি সম্ভবত তার পরিবারের চাপে সে এই মামলাটি করেছেন।

আমি একজন নারী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের যারা দায়িত্ব প্রাপ্ত রয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক সহযোগিতা চাচ্ছি যেন সবকিছু ভুলে গিয়ে আমি আমার বাকি জীবনটা জাফরের সাথে কাটাতে পারি সে ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।

এসময় কাজল জাফর ইকবালের সাথে তার সংসার জীবনে ফিরে যেতে না পারলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। কাজলের দাবি জীবনের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে জাফর ইকবাল সুতরাং আমি মরলেও একসাথে মরতে চাই আর যদি বেঁচে থাকি তাও জাফর ইকবালের সান্নিধ্য ও ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। অন্যথা মৃত্যুই হবে আমার একমাত্র ঠিকানা। কারণ জীবনের এই বয়সে এসে আমার কাছে আর অন্য কোন পথ খোলা নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জাফর ইকবালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি।

Loading