কপিলমুনিতে জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গা দখল করে বিক্রয় ঃ অতঃপর উদ্ধার

মিলন দাশ মিলন দাশ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ , মে ৭, ২০২৪

কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা \ কপিলমুনিতে জেলা পরিষদের রাস্থার জায়গা দখল করে কয়েক লক্ষ টাকা বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে জনৈক মনোরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে। এসংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার জেলা পরিষদের নির্দেশে পাইকগাছা উপজেলা কমিশনার ভূমি সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ সরেজমিনে এসে জরিপ পূর্বক জেলা পরিষদের জায়গা নির্ধারণ করেছে। নির্ধারণ পরবর্তী জেলা পরিষদের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। জানা গছে, পাইকগাছা-খুলনা সড়কের কপিলমুনিস্থ কপিলমুনি প্রেসক্লাব ও কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরীর উত্তর পার্শ্বে ৪২০ দাগের অবস্থিত জেলা পরিষদের রাস্থা ও তদস্থলে ৪৩৫ দাগে মনোরঞ্জনের (ভিপি) ডিসিআর মূল্যে ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এক্ষণে জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গাসহ জনৈক মনোরঞ্জন দাস তার দখলে থাকা ২ শতক সম্পত্তির উপর নির্মিত টালীর ঘরটি কপিলমুনি এলাকার জনৈক হারুন ও অরুপ গংদের নিকট প্রায় ২৫ লক্ষ টাকায় কথিত স্ট্যাম মূলে বিক্রয় করেন। এমতাবস্থায় জনৈক হারুন ও অরুপগং জরাজীর্ণ টালীর ঘরটি ভেঙ্গে সেখানে পাকা ইমারত নির্মাণ করতে গেলে বাধে-বিপত্বি। একদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে ইমারত নির্মাণ। অপরদিকে রাস্থার জায়গা বিক্রয় করে কয়েক লক্ষ টাকার বানিজ্যের বিষয়টি তখন প্রকাশ্যে আসে। এরপর জেলা পরিষদের নির্দেশে রাস্তার জায়গা উদ্ধারে নড়েচড়ে বসে পাইকগাছা উপজেলা কমিশনার ভূমি। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে উপজেলা সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ, তর্কিত সম্পত্তির কথিত ক্রেতা জৈনক হারুন ও অরুপগং এর পক্ষে সার্ভেয়ার নিছার আলী বিশ্বাস ও সার্ভেয়ার রহমত সরেজমিনে মাপ জরিপ করে জেলা পরিষদের ৪২০ দাগে অন্তভূক্ত সরকারী রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন। আর এরই মধ্যে দিয়ে অবৈধ দখলদারদের অনুকূলে থাকা জেলা পরিষদের কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। যাহার দাগ নং-৪২০, মৌজা-নাছিরপুর, জে এল নং-১৬, এসএ খতিয়ান নং-৬৪। এব্যাপারে সরেজমিনে সাংবাদিকদের কাছে সাক্ষাতকার কালে মনোরঞ্জন দাসের সম্পত্তির কথিত ক্রেতা জৈনক হারুন অর- রশিদ বলেন, আমি এ সম্পত্তি ক্রয় করিনি। আমি এখানে মনোরঞ্জন দাসের  প্রতিনিধি হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। কিন্তু তার বক্তব্যে সাথে সরেজমিনে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকার বিষয়টি রহস্যজনক। একই সময় অপর ক্রেতা অরুপ দত্ত বলেন, আমি উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়েছি। এখানে আমি দুই আনা অংশীদারও বটে। উক্ত বিষয়ে সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ বলেন, মূলত আমি ৪২০ দাগে জেলা পরিষদের রাস্তা ও ৪৩৫ দাগে মনোরঞ্জন দাসের ডিসি আর কৃত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করতে এসেছি। রাস্তার জায়গা দখল করে বিক্রয়ের বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন ।

Loading