খুলনা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে জন্ম নেওয়া নবজাতকটিকে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম উপহারসামগ্রী দিয়েছেন। শিশুটির মা স্বর্ণা আক্তার ও বাবা ইয়াসিন আরাফাতকেও উপহার দেওয়া হয়েছে। উপহার হিসেবে তাদের নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপকের কক্ষে নবজাতক শিশুর মা স্বর্ণা আক্তার ও স্বর্ণার ভাই ইসতিয়াক আহমেদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, ট্রেনের বগিতে সন্তান প্রসবের খবরটি রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নজরে এসেছে। এরপর এই শিশু ও তার বাবা-মাকে উপহারসামগ্রী দিতে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন। সেই টাকায় উপহারসামগ্রী কিনে দেওয়া হলো।

স্বর্ণা আক্তারের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হুগরি পান্তাপাড়া গ্রামে। তার স্বামী ইয়াসিন আরাফাত সৌদি প্রবাসী। সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার সকালে ঝিনাইদহ থেকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে স্বর্ণাকে রাজশাহী আনা হচ্ছিল। তারা ছিলেন ‘ঙ’ বগিতে। পোড়াদহ স্টেশন পার হওয়ার পর স্বর্ণার প্রসবব্যাথা শুরু হয়।

এ সময় ট্রেনের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কোনো চিকিৎসক থাকলে তার সহায়তা চাওয়া হয়। ঘোষণা শুনে এগিয়ে আসেন যাত্রী হিসেবে থাকা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. নাজনীন আক্তার।

যাত্রীরা তাদের ব্যাগ থেকে বের করে দেন কাপড়। তা দিয়েই বগির ভেতরে ‘ওটি’ তৈরি করা হয়। এরপর ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ১০ মিনিটের মধ্যে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন স্বর্ণা আক্তার।

ট্রেনটি দুপুরে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক নিজেই ছুটে যান উপহারসামগ্রী নিয়ে। তারপর রেলওয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করেই নবজাতক সন্তানসহ মাকে একটি ক্লিনিকে পাঠানো হয়। পরদিন রেলমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের উপহারসামগ্রী দেওয়া হলো। এরপর দুপুরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় স্বর্ণা ট্রেনে চড়েই তার সন্তান নিয়ে বাড়ি ফেরেন