পাশাপাশি কবরে পুলিশ কনস্টেবল সোহেলসহ পরিবারের ৪ সদস্য

প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ , মার্চ ২৬, ২০২৪

ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবিতে পুলিশ কনস্টবল সোহেল রানার পরিবারের আর কেউ বেঁচে নাই। গত ৩ দিনে একে একে সবার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে নিখোঁজ সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এর আগে শনিবার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও রোববার মেয়ে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সোহেল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। এদিন রাতে পাশাপাশি কবরে সকলকে সমাহিত করা হয়। এসময় দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ সন্ধ্যায় আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি সাজু মিয়া বলেন, সোহেল রানা আমাদের সহকর্মী ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে রিক্রুট হন। এভাবেই পুরো পরিবার দুর্ঘটনায় মারা যাবার খবরে আমরা মর্মাহত। তার পরিবারের ৪টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার রাতে দেবিদ্বারের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার বাদ জোহর ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে সোহেল ও তার দুই সন্তানের জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়।

সোহেলের ভগ্নিপতি ও ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবারের ৪ সদস্যকে পাশাপাশি কবরে সমাহিত করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তাদেরকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Loading