হাকিম মওলানা মুহম্মদ ইকবাল ইউসূফরাহে ভান্ডার এনোবল এওয়ার্ড পাচ্ছেন

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ , মার্চ ৯, ২০২৪

লেখক গবেষক বিষয়ে হাকিম মওলানা মুহম্মদ ইকবাল ইউসূফরাহে ভান্ডার এনোবল এওয়ার্ড পাচ্ছেন। আগামী ২১ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে আহুত দ্বাদশমহাত্মা সম্মেলনে তাকে এ পদক দেয়া হবে।
হাকিম মওলানা মুহম্মদ ইকবাল ইউসূফ,পিতা- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ জহুরুল হক, মাতা- নূর নাহার বেগম, হাজী বাড়ি, কাঞ্চনপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। তিনি ১৯৮০ খৃষ্টাব্দ থেকে লেখালেখি শুরু করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, জার্নাল, সাময়িকীতে তাঁর প্রবন্ধ- নিবন্ধ, কলাম, প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। বিদেশী প্রকাশনায়ও তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখায় প্রকাশিত পুস্তক ১১টি। ৪টি গবেষণা পুস্তক মাইজভা-ার শরিফ: ঐশ প্রেক্ষিত, মহিমা ভাস্বর সৈয়দ নুরুল বখতেয়ার শাহ, কাদিয়ানী সম্প্রদায়: তথ্য ও উপাত্ত, শরিয়তের দৃষ্টিতে সামাজিক অবরোধ ও সমাজচ্যুতি। দু’টি সমকালিন প্রেক্ষাপটে।একালের জঙ্গনামা, ইসলামের দর্পনে হেফাজতে ইসলাম। পাঁচটি গীত পুস্তিকা। মানিক রতন, মোবারক কালাম, হায়দরি নিশান, অছি নুমা, আতায়ে নুর। ইতোপূর্বে তাঁর লেখা গানের সিডি এ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে।দৈনিক পূর্বতারা, দৈনিক খবর, সাপ্তাহিক বন ও কৃষি সমাচার, অণুবীক্ষণ, চিত্র বাংলা, ছায়াছন্দ, মনোরমা, রাজপথ, পাক্ষিক নব রিপোর্ট, বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি বিএনএ, ইস্টার্ন প্রেস অব বাংলাদেশ ইপিবি’র স্টাফ রিপোর্টার এবং সাব এডিটর ছিলেন পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়। মাহদী নামে একটি উপলক্ষ ভিত্তিক সাময়িকী সম্পাদনা করতেন। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব নৈতিকতা ও ভাষা ইনস্টিটিউটের কোর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ সময়। সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবা ‘ব্যাপ্তি’র উদ্যেগে বিভিন্ন লেখকের বইপুস্তক প্রকাশ করেন।
প্রীতি সম্মিলন শিরোনামে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তিনি সর্বধর্ম সম্মেলনের আয়োজন করেন। মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ফেরকার সমন্বয়ে তিনি মুসলিম সংহতি সংলাপের আয়োজন করেন। বিভিন্ন তরিকার পীর মাশায়েখদের নিয়ে তরিকত মজলিশ আয়োজন করেন।সাংগঠনিক তৎপরতায় দেশের আনাচেকানাচে তাঁর বিচরণ। বৃহত্তর সভা সমাবেশে তাঁর বক্তৃতায় দর্শক শ্রোতা উদ্বেলিত উচ্ছ্বসিত হয়ে সঞ্জিবীত হন। তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হয়ে দীর্ঘকাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম ইউনানী তিব্বিয়া কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন দীর্ঘ বছর। চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি, চট্টগ্রাম যক্ষা নিরোধ সমিতি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি, চট্টগ্রাম একাডেমি ও লায়ন্স ব্লাড ব্যাংকের আজীবন সদস্য তিনি। জমিয়তুল ফালাহ্, চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের সাধারণ সদস্য। বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন গণসংগ্রাম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। অধুনালুপ্ত মাইজভা-ারী সংসদ, মাইজভা-ারী সাংষ্কৃতিক সংসদ এবং চট্টগ্রাম ইসলামিয়া আইন কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সম্মাননা, রোটারেক্ট সম্মাননা, লন্ডনস্থিত মুসলিম টেলিভিশন এম.টি.এ সম্মাননা, ইসলামি টেলিভিশন মাদানী চ্যানেল সম্মাননা, দর্পণ আর্ট গ্যালারী সম্মাননাসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংগঠনিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা পদকে তিনি ভূষিত।
মাইজভা-ারী দর্শনের বাহক ও প্রচারক হিসেবে তাঁর পরিচিতি। তাঁর লেখা ও কথায় মাইজভা-ার শরিফ শিরোনাম হয়। সূফীতত্ত্ব গবেষণা ও মানবকল্যাণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক তিনি। পৃথিবীর নানা দেশে সফর করেছেন। ইরান সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে তিনি তেহরানে আর্ন্তজাতিক সমাবেশে যোগদান করেন। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সভা সেমিনার সিম্পোজিয়ামে তিনি আলোচনা করেছেন। জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র, হটলাইন হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড স্প্রিচুয়্যাল এসেম্বলি নিউ ইয়র্ক, আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর রিলিজিয়াস ফ্রিডম আই.এ.আর.এফ, গ্লোবাল রিসার্চ সেন্টার ইউ.কে’র দপ্তরে তিনি নিবন্ধিত।১৯৯০ খৃষ্টাব্দে তৎকালিন সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের দরগাহ মাজার সমূহ নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দরগাহ মাজার ফেডারেশন গঠন করে তিনি কার্যকর আন্দোলন সংগঠিত ও সফল করেন।আশির দশক থেকে অদ্যাবধি তিনি স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী। স্বাধীন চিন্তা মুক্তবুদ্ধির পক্ষে সম্প্রীতি সৌহার্দ্য সহযোগিতা সহভাগিতা সহমর্মিতা সহাবস্থানের সমাজ কায়েমে প্রত্যয়ী।

Loading