রোহিঙ্গাদের জীবন বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ

প্রকাশিত: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ , জুন ১৯, ২০২২

নূর কায়সার জানতো তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী একটি শিশুর উচ্চাভিলাস। তবে, সে কঠোর অধ্যয়ন করে চলেছিল। আশা ছিল, একদিন এটি বাস্তবে পরিণত হবে। কিন্তু এ স্বপ্ন ছিল এপ্রিলে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় তার ক্যাম্পে কর্তৃপক্ষ তার স্কুলকে বুলডোজ করার আগে। ‘এখন আমি সারাদিন কিছুই করি না’ বলে ১৩ বছরের রোহিঙ্গা ছেলেটি। ‘আমার স্বপ্ন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শেষ হয়’।
নূর স্কুল ধ্বংস করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনে নিরুৎসাহিত করার একটি বৃহত্তর নীতি প্রতিফলিত করে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রায় ৭ লাখ সদস্যকে বার্মিজ সামরিক বাহিনীর নির্মম ক্র্যাকডাউনে প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করার পরে গ্রহণ করেছে। আমেরিকা এবং দেশগুলো সহিংসতাকে গণহত্যা বলার জন্য যথেষ্ট পদ্ধতিগত বিবেচনা করেছে। তবে সরকার সবসময় জোর দিয়ে আসছে যে, আশ্রয়টি অস্থায়ী হবে। গত বছরের অভ্যুত্থানে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন এবং তারপর থেকে নতুন জান্তা দেশটিতে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করার অর্থ রোহিঙ্গারা শিগগির দেশে ফিরবে না। একাকার হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের জীবনকে আগের চেয়ে আরো কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করার পথ বেছে নিয়েছে। দ্য ইকোনোমিস্ট।

Loading