চসিক প্রশাসকের সাথে চবক চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাত নিউজ ৭১ অনলাইন নিউজ ৭১ অনলাইন প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২৩, ২০২০ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন রিয়ার এ্যাডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ (এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন) আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এর সাথে প্রশাসকের সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে তারা চবক ও চসিক এর উন্নয়ন ও পরস্পর সমন্বয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন। আগ্রাবাদ হতে পতেঙ্গা পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু এখানে একটি মাতৃসদন কিংবা জেনারেল হাসপাতাল নেই। বিষয়টি উপলব্ধি করে এতদাঞ্চলের মায়েদের সুবিধার্থে এখানে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান প্রশাসক। দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সক্ষমতা অনেকাংশে ফিরে এসেছে বলে প্রশাসক এ সময় মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ বন্দরকেই চট্টগ্রাম নগরীর লালন এবং উন্নতমানের শহরে রূপান্তর করতে ভূমিকা রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। বন্দর নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের লীলাভুমি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেদারল্যান্ড ও সিংগাপুরের মত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। তাই বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে। এ কারণে চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে প্রচুর শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। দেশের সর্বমোট রপ্তানী বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে। প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোর উপর সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিবহন চলাচল করে। তাই এই সড়কগুলোর রক্ষণা-বেক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব বন্দরের উপরও বর্তায়। বন্দরের রাস্তায় বিশালাকৃতির গাড়ীগুলো অলস পার্কিং এর কারণে সৃষ্ট যানজট থেকে মুক্ত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন প্রশাসক। চট্টগ্রাম বন্দরের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে তিনি সাবেক মেয়র চট্টলবীর আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে যুক্ত ছিলেন বলে প্রশাসক উল্লেখ করেন। বন্দর চেয়ারম্যান বন্দরে সুষ্ঠু পরিচালনা ও উন্নয়নে চসিক প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর জাতির অস্তিত্বের মত। তিনি প্রশাসককে অবহিত করেন যে, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বে-টর্মিনাল বাস্তবায়ন, কর্ণফুলী নদী’র ক্যাপিটেল ড্রেজিং অব্যাহত রাখা, পতেঙ্গা ও লালদিয়ার চরের টার্মিনাল নির্মাণ, পোর্ট লেবার কলোনীতে টার্মিনাল নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। রাজাখাল ও মহেষখাল ড্রেজিং করা, মহেষখালে পাম্প হাউস সহ স্লুইচ গেট নির্মাণ করার বিষয়টিও এখন সময়ের দাবী উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আনোয়ারা, ফেনী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন চালু হলে এবং কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হলে বন্দরের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। সে বিষয়টিকে আমলে এনে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। চসিকের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোহিতার আশ্বাস দেন চসিক প্রশাসক। সাক্ষাতকালে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন এন্ড প্লানিং) জাফর আলম, প্রকৌশলী কমডোর নিয়ামুল হাসান, সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ সভাপতি আবুল মনছুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। শেয়ার চট্টগ্রাম বিষয়: