বিশ্বে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার ছয় মাসে প্রথম কোটির ঘরে পৌঁছায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কিন্তু গতমাস থেকে ভাইরাসটির তাণ্ডব আরও বৃদ্ধি পেলে সে সংখ্যা মাত্র তেতাল্লিশ দিনেই দুই কোটির ঘর ছুঁতে চলেছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে সোয়া ৭ লাখের বেশি ভুক্তভোগীর। 

আক্রান্ত ও প্রাণহানির অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, পেরু ও চিলির মতো দেশগুলোর নাগরিক।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত একদিনে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ৫ হাজার ৬০৪ জন মানুষের। এতে করে প্রাণহানি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৮৮ জনে ঠেকেছে।

তবে, আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায়ও পৌনে ২ লাখের বেশি ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

এর মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উৎপত্তিস্থল চীনে নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি। তবে দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এখনও প্রতিদিনই কমবেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

করোনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে সবার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ লাখ ৫০ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০ জন মানুষ।

ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ লাখ ১৩  হাজার। প্রাণহানি ১ লাখ ৫৪৩ জনে ঠেকেছে।

সংক্রমণে তিনে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে গত একদিনেই ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৫২ হাজারে ঠেকেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৪৩ হাজার ৪৫৩ জনের।

রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮ লাখ ৮২ হাজার। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৫৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি। আর মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২১০ জনের।

উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৪ লাখ ৬৯ হাজারের অধিক। প্রাণ গেছে ৫১ হাজার ৩১১ জন মানুষের।

লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতে আক্রান্ত ৪ লাখ ৭১ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৮৪৪ জন।

কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার রোগী। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৪০ জনের।

চিলিতে সংক্রমণ ৩ লাখ ৭১ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজার ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত বেড়ে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ২৮ হাজার ৫০৩ জনের।

মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে করোনার শিকার ৩ লাখ ২৪ হাজার। প্রাণহানি ঘটেছে ১৮ হাজার ২৬৪ জনের।

যুক্তরাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লাখ ৯ হাজার। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৫৬৬ জনের।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৭ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ১৩০ জন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে করোনার শিকার ২ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৬৮ জনের।

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ৩৬৫ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জন ভুক্তভোগী।