শার্শা উপজেলা পরিষদ “চেয়ারম্যান” পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিলেন যুবলীগ সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ

প্রকাশিত: ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ , জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিল/২০২৪ মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশ নিতে সরব আলোচনা চলছে দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে। গেল ০৭ জানুয়ারী/২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতে আলোচনায় চলে এসেছে এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইসি সূত্রে জানা যায়-রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট করতে চায় ইসি।

সারা দেশের ন্যায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সীমান্ত এলাকা জুড়ে অবস্থিত যশোর জেলার শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ জনমণে প্রশ্ন জেগেছে,এবার কে হচ্ছেন শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে,উপজেলা প্রশাসনের সুউচ্চ এই চেয়ারম্যান পদের আসনটিতে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী দীর্ঘদিন যাবৎ জনসেবা চালিয়ে এসেছেন। ইতোমধ্যেই আ.লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি থেকে জানানো হয়েছে উপজেলা-পৌর ভোটে থাকছে না দলীয় প্রতীক “নৌকা”। ফলে, দলের যোগ্যতা সম্পন্ন যে কেউ “চেয়ারম্যান” পদের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার “চেয়ারম্যান” পদে পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিলেন শার্শার মাটি ও জনমানুষের প্রিয় মুখ, দলের দুর্দিনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক অত্র উপজেলার যুবলীগ সভাপতি-অহিদুজ্জামান অহিদ(শার্শা উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক-প্রয়াত নুরুজ্জামান এর ছোট ভাই)। সফলতার সাথে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালণ করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি বেনাপোল স্থল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন,রেজি নং-৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালণ করছেন। খেলাপ্রেমী এবং সাংস্কৃতিক মণা এই মানুষটি অত্র উপজেলার বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব এবং পিয়ানো সংগীত একাডেমী ও রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি পদে নিয়োজিত রয়েছেন। দেশের ক্রান্তি সময়ে অসহায় এবং দুঃখি মানুষের পাশে তাকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

রবিবার(২৮ জানুয়ারী) বিকালে নিজেদের সিএন্ডএফ অফিস কার্যালয় “পদ্মা ট্রেডিং” এ এক সংবাদ সাক্ষাতে তিনি “চেয়ারম্যান” পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপণ করেন। এ সময় বর্ণিল এই রাজনীতিবীদ তার দলীয় পরিচিতি এবং দলের দুর্দিনে নিজের অবস্থানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন-” ২০০১ ইং সালে ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে শার্শা উপজেলা ব্যাপি রাজপথে দলীয় জোর কর্মকান্ড পরিচালনা করার সময় হামলা,মামলা,নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ভাংচুর,অগ্নি সংযোগ এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন”।

বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনৈতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের এই আইকন তার মৃত পিতা আব্দুস সাত্তার এবং বড় ভাই মৃত নুরুজ্জামান ভাই আ.লীগের নিবেদিত প্রাণপুরুষ ছিলেন বলে,তা জানিয়ে বলেন-” শার্শা উপজেলা ঘিরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত আমার পিতা আব্দুস সাত্তার ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার কারণে মুক্তিযোদ্ধা বিরোধীদের পক্ষ হতে বিভিন্ন ধরণের আক্রোশের শিকার হন। সেই আক্রোশে ঐ সময় স্বপরিবারে দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বণগাঁও এ আশ্রয় গ্রহণ করেন। ভারতে থাকাকালীন সময়ে আ.লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময় বাংলাদেশে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থানীয়ভাবে নানান সহায়তা করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫ ইং সনে তিনি অত্র উপজেীলার নিজ জন্মস্থান পুটখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালণ করেন। ১৯৭৯-১৯৮০ ইং সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তৎকালীন আ.লীগের সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দলীয় মিথ্যা মামলায় কারাভোগের স্বীকার হয়েছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইউনিয়ন আ.লীগের পাশাপাশি শার্শা উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। অপরদিকে,ভাই নুরুজ্জামান শার্শা উপজেলা আ.লীগের ১৯৯৬-২০০৩ ইং পর্যন্ত সদস্য,২০০৩ থেকে ২০১৩ ইং পর্যন্ত সাংগঠনিক পদে এবং ২০১৩ ইং থেকে মৃত্যু’র আগ পর্যন্ত “সাধারণ সম্পাদক” পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন(গত ২৮ আগস্ট/২০২২ ইং সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন)”।

অহিদুজ্জামান অহিদের সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ-নামঃ-মোঃ অহিদুজ্জামান।পিতাঃ-মৃত আব্দুস সাত্তার। মাতাঃ-মোছাম্মাদ খোদেজা বেগম।জন্মঃ-১৪ জুন ১৯৬৪ গ্রামঃ গাজীপুর,ডাকঘরঃ- বেনাপোল। উপজেলাঃ- শার্শা,যশোর।
জাতীয়তাঃ- বাংলাদেশী। তিনি ২মেয়ে এবং ১ ছেলের জনক। ১৯৮১ ইং সালে আজমখান কমার্স কলেজে অধ্যায়ণের সময় ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হয়ে আ.লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।

উল্লেখ্য,গত ০৭ জানুয়ারী/২০২৪ ইং তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে “নৌকা” প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন এর জয়লাভের জন্য তার নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগ এবং বেনাপোল বন্দরের বৃহৎ শ্রমিক সংগঠণ নির্বাচনী প্রচারনায় কাজ করেছিল।

Loading