বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ , আগস্ট ৯, ২০২৩

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতার ৯৩তম এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

ইতালির রোম, গ্রিসের এথেন্স, মিসরের কায়রো ও সৌদি আরবের জেদ্দাসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন হতে ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা গেছে।

রোম: ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।

ইতালি, মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পরে, দূতাবাস প্রাঙ্গনে অয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার ৯৩তম এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এছাড়াও তাঁদের জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং তাঁদের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।

এথেন্স: গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র, বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৮ আগস্ট গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, গ্রিস আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে নিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর, রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মহতী জীবনীর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Loading