ঝুঁকির মধ্যেও নামাজ আদায়

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ , জুলাই ১৮, ২০২০

করোনাভাইরাসের মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এসব অঞ্চলের নদনদীতে পানি দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাসহ মুন্সীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি, বসত বাড়ী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এসব এলাকায় মানুষরে মধ্যে চরম আতঙ্কা বিরাজ করছে।

এরমধ্যে পদ্মা ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপত্সীমার ৬২ এবং মাওয়ায় ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বইছে। ফলে মুন্সীগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের হলদিয়া গ্রামের একটি মসজিদের একাংশ। সেই মসজিদেই শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। চরম ঝুঁকি জেনেও স্থানীয়রা নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া জেলার কামারখাড়া মুন্সীবাড়ী পয়েন্টে ২ সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে কামারখাড়া-আদাবাড়ী এবং দীঘিরপাড়-কামারখাড়া-ভাঙ্গুনিয়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার প্রবণতা আগামী ২ দিন অব্যাহত থাকবে। পদ্মা নদী আগামী এক দিনের মধ্যে সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমা পেরিয়ে যেতে পারে।

Loading