স্কুলছাত্রী মুক্তি হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক গ্রেফতার

সুস্থির সরকার সুস্থির সরকার

বিভাগীয় প্রধান ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ , মে ৩, ২০২৩

নেত্রকোণা বারহাট্টায় স্কুল থেকে সহপাঠীদের সাথে বাড়ি ফেরার পথে ব্যর্থ প্রেমিকের দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে মুক্তি রাণী বর্মন হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নেত্রকোণা পুলিশ ঘাতককে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউসারকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হারুন অর রশিদ। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আলী পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমান, খালিয়াজুরী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যবৃন্দসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে প্রেমনগর গ্রামের পাকা ধান ক্ষেত সংলগ্ন জঙ্গল থেকে ঘাতক কাউসারকে (১৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহত মুক্তি রানী উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুর গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মনের মেয়ে। সে ছালিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘাতক কাউসার  মুক্তি রানীর পথরোধ করে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তিরানীকে মৃত ঘোষনা করেন। সেথেকে ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

২৪ ঘন্টার মধ্যে নেত্রকোণা পুলিশ ঘাতককে ধরতে সক্ষম হয়েছে বলে জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে নাগরিক সমাজ, পাশাপাশি তার শাস্তি সুনিশ্চিত করতে আইনি সকল প্রক্রিয়া যথাযথ সম্পন্ন করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানায় জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

 

 

Loading